নিউজ ওয়েভ ইন্ডিয়া: মধ্য কলকাতার ইতিহাস সমৃদ্ধ ক্লাব ১৯২৩ ছাত্র সমিতি। এবার শতবর্ষে পদার্পণ করেছে এই শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব। সেই উপলক্ষে বছরভর নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ১৯২৩ ছাত্র সমিতি কর্তৃপক্ষ। রবিবার রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয় ক্লাবের তরফে।
ক্লাবের ছোট বড় কর্তারা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়, পুর প্রতিনিধি ইন্দ্রনীল কুমার ও অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিরা। ছিলেন ক্লাবের বর্তমান ও প্রাক্তন সদস্যরাও। শোভাযাত্রাটি মধ্য কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকা প্রদক্ষিণ করে। সেখানে ব্যান্ড যেমন ছিল, তেমনই সাঁওতালি নাচেরও আয়োজন ছিল। ক্লাবের প্রত্যেক সদস্যের হাতে ছিল ব্যানার ও পতাকা। বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় ও স্থানীয় পুর প্রতিনিধি বলেন, বহু দিন ধরেই এলাকার খেলাধূলার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে ১৯২৩ ছাত্র সমিতির। আগামীদিনেও ক্লাবের পরিকাঠামো ও খেলাধূলার মানোন্নয়নে ক্লাবকে সরকারের তরফে সমস্তরকম সহযোগিতা করা হবে।

শতবর্ষে পদার্পণ করা এই ক্লাব প্রাক স্বাধীনতা যুগে গড়ে উঠেছিল ‘ছাত্রাচার্য’ নারায়ণ চন্দ্র ঘোষের হাত ধরে। মধ্য কলকাতার এই ক্লাবটি ভলিবল, বাস্কেটবল, জিমন্যাস্টিক সহ বিভিন্ন খেলাধূলার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত শুরু থেকেই। এবার শতবর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে বছরভর নানা ক্রীড়া ও সংস্কৃতিমূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে এই ক্লাবের তরফে। ক্লাবের সভাপতি শোভন কুমার ঘোষ জানিয়েছেন, অদূর ভবিষ্যতে ভলিবল ও বাস্কেটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে ক্লাবের তরফে।
স্বাধীনতার পূর্বে ১৯২৩ সালে দোলের দিন এই ক্লাবের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। তাই এবারে শতবর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে দোলের দিন থেকেই বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এই ক্লাব থেকেই একসময় বাংলা ও জাতীয় দলে প্রতিনিধিত্ব করেছেন অনেক ক্রীড়াবিদ। তাঁদের মধ্যে এখনও কয়েকজন জীবিত। তাঁদেরও সম্মানিত করার ইচ্ছে রয়েছে ক্লাবের।
১৯২৩ সালে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ‘ছাত্রাচার্য’ নারায়ণ চন্দ্র ঘোষের হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এই ক্লাব। উদ্দেশ্য ছিল ছাত্রদের মধ্যে কবাডি, খো খো সহ বিভিন্ন খেলায় আকর্ষণ গড়ে তোলা। ১৯৪৫ সালে ক্লাবের আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম সভাপতি হন বিশিষ্ট আইনজীবী জেসি মুখার্জি। ১৯৯৩ সালে ওয়েস্ট বেঙ্গল সোসাইটি রেজিস্ট্রেশন আইন অনুযায়ী নথিভুক্ত হয় ছাত্র সমিতি। নতুন নাম হয় ‘১৯২৩ ছাত্র সমিতি।’