Civic Polls 2022
Share it

নিউজ ওয়েভ ইন্ডিয়া: পুরসভায় চাকরি করেন বিজেপি প্রার্থী। তাই বাতিল হয়ে গেল মনোনয়ন। অন্যদিকে সিপিএম প্রার্থী তৃণমূলে যোগদান করেছেন। ফলে বীরভূমের রামপুরহাট পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড কার্যত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করতে চলেছে শাসক শিবিরের প্রার্থী। যদিও বিজেপির অভিযোগ, চক্রান্ত করে বাদ দেওয়া হচ্ছে বিজেপি প্রার্থীকে।

রামপুরহাট পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড দীর্ঘদিন তৃণমূলের দখলে। এবার ওই ওয়ার্ড তপসিলি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। ফলে প্রার্থী হতে পারেননি তিনবারের কাউন্সিলর, বিদায়ী উপপ্রশাসক আব্বাস হোসেন। দল তাঁকে অন্য ওয়ার্ডে প্রার্থী না করায় তিনি কংগ্রেসে যোগদান করেও ফের তৃণমূলে ফিরে আসেন। ওই ওয়ার্ডে এবার তৃণমূলের টিকিটে প্রার্থী হয়েছেন তুফানি মাল।

ওই ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দেন রূপা হাজরা। বিজেপির প্রতীকে দাঁড়িয়েছিলেন হেমা হরিজন। বৃহস্পতিবার মনোনয়ন স্ক্রুটিনি করতে গিয়ে বিজেপি পার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়। রামপুরহাট মহকুমা শাসক সাদ্দাম নাভাস বলেন, “ওই প্রার্থী রামপুরহাট পুরসভায় চাকরি করেন। কিন্তু তিনি পুরসভা থেকে নো-অবজেকশন কাগজ জমা দেননি। তাই তাঁর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।”

হেমা হরিজন বলেন, “আমি মাসে ১৯৭৮ টাকা পুরসভা থেকে পাই। আমার কোনও নিয়োগপত্র নেই। সকালে শহরে ঝাঁট দিয়ে ওই সামান্য টাকা পাই। চক্রান্ত করে আমার মনোনয়ন বাদ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন আমাকে নিয়োগপত্র দেওয়ার ব্যবস্থা করুক। এছাড়া একজন ঝাড়ুদারের যে বেতন তাও সম্পূর্ণ মিটিয়ে দিতে হবে। তা না হলে আমি উচ্চ আদালতে যাব।”

রামপুরহাট বিধায়ক, বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা কারও মনোনয়ন বাতিল করিনি। নির্বাচনী আধিকারিক নিয়ম মেনে যা করার করছেন। আমরা মনোনয়ন বাতিল করার কেউ নই।”

Share it