নিউজ ওয়েভ ইন্ডিয়া: রাজ্য সরকারের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে খেলার মাঠ দখল করে স্তূপাকৃতি বালি মজুতের অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের ছত্রছায়ায় থাকা এক ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। শাসকদলের ছত্রছায়ায় থাকায় প্রতিবাদ করার সাহস পাছেন না গ্রামবাসীরা। ফলে মজুত অবৈধ বালি নিয়ে দিব্যি ব্যবসা চালাচ্ছেন গ্রামে। ফলে খেলাধুলো চলছে নদীর চড়ে। প্রধান অবশ্য বালি ব্যবসায়ীর পক্ষেই সাওয়াল করেছেন।
নদী থেকে অবৈধভাবে বালি তোলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু বীরভূমের মুরারই ১ নম্বর ব্লকের কাহিনগর গ্রামের এক রমরমিয়ে চলছে অবৈধ বালি ব্যবসা। এই গ্রামের পাশ দিয়ে চলে গিয়েছে বাঁশলৈ নদী। সেই নদীর ধারে সরকারি জায়গায় মজুত করা হয়েছে স্তূপাকৃতি বালি। দূর থেকে মনে হতেই পারে কোন মরুভূমি। কয়েক মাস আগে ওই সরকারি জায়গা সংস্কারের নামে পলশা গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে এখন শুধুই বালি।
গ্রামের বাসিন্দা সামিউল ইসলাম ওরফে চার্চিল নামে শাসকদলের ছত্রছায়ায় থাকা এক ব্যক্তি বালি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন বুক ফুলিয়ে। গ্রামের ভিতর দিয়ে দিনরাত বালি বোঝায় ট্রাক্টর চলাচল করলেও প্রতিবাদ করার সাহস নেই কারও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গ্রামবাসীর কথায়, সারা বছর এভাবেই নদীর বালি মজুত করে চলছে ব্যবসা। এর ফলে ভাঙছে গ্রামের রাস্তা। ঘটছে দুর্ঘটনা। প্রতিবাদ করতে গেলেই রক্ত চক্ষুর সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তাই মুখ বুজে সব কিছু সহ্য করতে হচ্ছে।
চার্চিল বলেন, “ঝাড়খণ্ড থেকে বালি এনে আমি নিজের জায়গায় মজুত করেছি। সরকারি জায়গা দখল করে বালি ফেলিনি। নিজের ব্যবসার কাজের জন্য এই বালি মজুত করা হয়েছে। তবে এরাজ্যে কোনও রাজস্ব দেওয়া হয়নি। প্রশাসন চাইলে রাজস্ব দেব”। তাঁর সাফাই, বাঁশলৈ নদী থেকে প্রতিদিন গাড়িতে করে অবৈধভাবে বালি তুলে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর চলে যাচ্ছে। কেউ দেখার নেই। এতো বালি মজুত অথচ প্রশাসনের হেলদোল নেই। তাছাড়া ঝাড়খণ্ড থেকে বালি নিয়ে এসে এরাজ্যে মজুত করার কোনও কি ছাড়পত্র রয়েছে? তারও উত্তর নেই। এনিয়ে মুরারই ১ নম্বর ব্লকের বিডিও প্রণব চট্টোপাধ্যায়কে ফোন করা হলে তিনি ধরেননি।
আর তৃণমূল পরিচালিত পলশা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সঞ্জীব কুমার রুইদাস বলেন, “ঝাড়খণ্ডের মহেশপুর, আমরাপাড়া নদী থেকে বালি নিয়ে এসে কেউ কেউ ওখানে মজুত করে ব্যবসা করছে। তবে বাঁশলৈ নদী থেকে কোনও রকম বালি উঠছে না”।