নিউজ ওয়েভ ইন্ডিয়া: ঐতিহাসিক নভেম্বর বিপ্লবের স্মরণে পতাকা তোলায় পিটিয়ে খুন করা হল এক সিপিএম কর্মীকে। জখম আরও এক। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। যদিও খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের নানুর থানার বালিগুনি গ্রামে।
নিহত সিপিএম কর্মীর নাম বাদল শেখ (৬৫)। জখম আরও একজনকে বোলপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার ছিল ঐতিহাসিক নভেম্বর বিপ্লব দিবস। এই উপলক্ষে বালিগুনি গ্রামে নিজের বাড়ির সামনে দলীয় পতাকা তুলেছিলেন বাদল শেখ সহ কয়েক জন। এরপরেই সোমবার সকালে দুজনকে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। দুষ্কৃতীরা দুজনকে মারধর করে তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেয়। বাড়ির বাইরে দুষ্কৃতীরা পাহারা দেওয়ায় কেউ চিকিৎসার জন্য পরিজনদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারেনি বলে অভিযোগ।
বিষয়টি দলীয় স্তরে খবর পাওয়ার পর নানুর থানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এরপর পুলিশ গিয়ে দুজনকে উদ্ধার করে বোলপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই বাদলকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
বাদশা শেখের স্ত্রী জরিনা বিবি বলেন, “রবিবার পতাকা তুলেছিল। তারপর সোমবার সকালে ডেকে নিয়ে যায়। মারধর করে ঘরে দিয়ে যায়। কিন্তু ঘর থেকে বের হতে দেয়নি আমাদের। তৃণমূলের লোকজন বাইরে দাঁড়িয়েছিল। তারা বলছিল ঘর থেকে কেউ বের হবে না। সেই ভয়ে ঘরের মধ্যেই ছিলাম। বিকেলের দিকে পুলিশ গিয়ে আমাদের নিয়ে আসে”।
সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য তথা বীরভূম জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক গৌতম ঘোষ বলেন, “ঐতিহাসিক নভেম্বর বিপ্লবের পতাকা উত্তোলন করায় প্রাণ দিতে হল আমাদের এক কর্মীকে। মারধর করা হয়েছে আরও একজনকে। দুষ্কৃতীরা মারধরের পর তাদের হাসপাতালে পর্যন্ত নিয়ে যেতে দেয়নি। আমরা খবর পেয়ে পুলিশকে জানাই। পুলিশ তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার আমরা জেলার থানায় থানায় ডেপুটেশন দেব। প্রতিবাদ মিছিল করব”।
যদিও তৃণমূল নেতা সুব্রত ভট্টাচার্য বলেন, “এর সঙ্গে আমাদের কেউ জড়িত নয়। ময়নাতদন্ত হলে আসল সত্য বেরিয়ে আসবে”।