নিউজ ওয়েভ ইন্ডিয়া: রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের গণহত্যার ঘটনা সহ মাফিয়ারাজ ও রাজনৈতিক হানাহানির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করল বাংলার সুশীল সমাজ। সোমবার ‘বাংলার মন’ সংগঠনের তরফে কলকাতা প্রেস ক্লাবে একটি সাংবাদিক বৈঠকে হাজির ছিলেন সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। শুধু অস্থিরতাই নয়, পুলিশ প্রশাসনের স্থবিরতার বিরুদ্ধেও প্রতিবাদে সরব হন তাঁরা।
সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক মানস ঘোষ, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক পুলক নারায়ণ ধর, অবসরপ্রাপ্ত IPS ডঃ বাণীপদ সাহা, সাহিত্যিক পৃথ্বীরাজ সেন, পদ্মশ্রী কাজি মাসুম আখতার, অভিনেত্রী পাপিয়া অধিকারী, পদ্মশ্রী ডঃ অরুণোদয় মণ্ডল, অবসরপ্রাপ্ত IPS রমেশ কুমার হান্ডা, সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়দীপ চট্টোপাধ্যায়, আইনজীবী রুবি মুখোপাধ্যায়, ঝন্টু বরাইক, প্রাক্তন আমলা বলাই চক্রবর্তী, কমলেন্দু মৈত্র, চিত্রপরিচালক অরুণ রায়, বিমল শঙ্কর নন্দ, রেমো আর, সাধন তালুকদার, কবি ও সমাজকর্মী দীপ্তিমান বসু সহ আরও অনেকে।
উপস্থিত বিদ্বজ্জনেরা বলেন, গত ৭ দিনে রাজ্যে ২৭ জন খুন হয়েছেন। তাঁরা যে দলের বা গোষ্ঠীরই হোক না কেন, তা বাংলার জনমানসে আতঙ্ক ও সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করছে। পুলিশ প্রশাসনের ওপরেও আস্থা হারাচ্ছে মানুষ। মনের মধ্যে তৈরি হচ্ছে ক্ষোভ। তাঁরা আরও বলেন, এই পরিস্থিতি রাজ্য প্রশাসনের পক্ষে একেবারেই সুখকর নয়। এই অবস্থার অবসান হওয়া আশু প্রয়োজন। এজন্য সবচেয়ে আগে বেআইনি অর্থ উপার্জনের উৎসগুলিকে বন্ধ করার ওপরেও জোর দিয়েছেন তাঁরা।
শিক্ষাক্ষেত্র ও শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়েও সরব হয়েছে ‘বাংলার মন’ সংগঠন। সোমবার বিধানসভার অভ্যন্তরে জন প্রতিনিধিদের মধ্য়ে হাতাহাতির ঘটনারও তীব্র নিন্দা করেছেন বিদ্বজ্জনেরা। তাই এখনই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির কাছে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছেন। অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি আগামীদিনে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠবে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তাঁরা।