Share it

নিউজ ওয়েভ ইন্ডিয়া: ঋতাছন্দা শুধুমাত্র একটি সংগীত প্রতিষ্ঠান নয়, বরং এটি ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে ভারতীয় সংস্কৃতি এবং আধ্যাত্মিকতার মেলবন্ধন নিয়ে কাজ করে। এই সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান বহুল প্রসারিত একটি সংগঠন যা সংগীত, নৃত্য, রচনা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড নিয়ে কাজ করে। ঋতাছন্দা ভারতীয় সংস্কৃতি এবং আধ্যাত্মিকতাকে একত্রিত করার চেষ্টা করে থাকে। দেখতে দেখতে নয় বছর পার করে ফেলল ‘ঋতাছন্দা’। সেই নবম বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে আগামী ১১ মার্চ কলকাতার উত্তম মঞ্চে আয়োজন করেছে এক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের। ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের রাগ-রাগিনীর মাধ্যমেই ভারতীয় সংষ্কৃতি এবং আধ্যাত্মিকতাকে মেলাবার প্রয়াস নিয়েছে ‘ঋতাছন্দা’। পরিবেশনায় এস এন বি ফাউন্ডেশন।

ঋতা শব্দটি সংস্কৃত শব্দ। এর অর্থ হল বিশ্বব্যাপী নিয়ম ও নীতি। এটি সমস্ত প্রাণীদের জীবন ও পরিবেশের উন্নয়ন ও সম্প্রদায়ের সংরক্ষণের মূলকারণ। ভারতীয় সংস্কৃতি এবং দার্শনিক পরম্পরার মধ্যে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ঋতা ছন্দ সম্পর্কে বলতে গেলে, এটি প্রাচীন ভারতীয় সংস্কৃতির একটি মহান উপহার। এই ছন্দই সত্যের আরাধনার মূলমন্ত্র। এই আরাধনাই নয় বছর ধরে করে আসছে ‘ঋতাছন্দা’ প্ৰতিষ্ঠান। এমন মৌলিক ভাবনার পেছনে যাঁর চিন্তাভাবনা তিনি হলেন দেওঘরের দেব সঙ্ঘের শ্রীমৎ সৌমেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী মহাশয়। ভারতীয় সংষ্কৃতির সঙ্গে আধ্যাত্মিকতার মেলবন্ধনের প্রয়োজনীয়তা যিনি অনুভব করেছিলেন, তার ফলস্বরূপ এই প্রতিষ্ঠান।

১১মার্চ উত্তম মঞ্চে তাবড় তাবড় ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত থাকবেন। বিশিষ্ট ওড়িশি শিল্পী অলকানন্দা রায়, প্রখ্যাত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব দেবাশীষ কুমার এবং আরও অনেকে উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করবেন সারা দেশের গুণী শিল্পীরা। সেতার বাজাবেন বিদুষী সাহানা বন্দ্যোপাধ্যায়, শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে অনল চট্টোপাধ্যায় এবং ব্রজেশ্বর মুখোপাধ্যায়, বাঁশিতে প্রবীণ গদখিনদীর মতো নামিদামি শিল্পীরা। থাকছে দুটো নৃত্যানুষ্ঠান। ‘দশমহাবিদ্যা’ এবং ‘ফায়ার’। সম্রাট দত্তের পরিচালনায় হবে ‘দশমহাবিদ্য’ এবং গুরু অসীমবন্ধু ভট্টাচার্যর  পরিচালনায় দেখা যাবে ‘ফায়ার’। কলকাতা শহর ভারতীয় সংষ্কৃতি এবং আধ্যাত্মিকতার এক অভূতপূর্ব মেলবন্ধনের সাক্ষী থাকতে চলেছে।

Share it