নিউজ ওয়েভ ইন্ডিয়া: বিশ্ব চলচ্চিত্রে স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবির গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানের প্রতিথযশা অনেক পরিচালকই তাঁদের কর্মজীবনের সূচনা করেছিলেন স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি তৈরির মাধ্যমে। কিন্তু, এখনও কোনও অজ্ঞাত কারণে পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ছবি বা ফিচার ফিল্মের কাছে গ্ল্যামারের টক্করে এঁটে উঠছে পারে না শর্ট ফিল্মগুলি। এই পরিস্থিতিতে নতুন প্রজন্মের কাছে শর্ট ফিল্মকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার উদ্দেশ্যে শহরে আয়োজন করা হচ্ছে ‘ইন্টারন্যাশনাল শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ২০২২’।
তিনদিন ব্যাপী এই শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের উদ্য়োক্তা রোদ্দুর। JIS গ্রুপের সহযোগিতায় ২৭ মে থেকে ২৯ মে পর্যন্ত এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে ICCR-এর সত্যজিৎ রায় অডিটোরিয়ামে। ফেস্টিভ্যালের ডিরেক্টর কৌশিক সেনগুপ্ত। চেয়ারপার্সন কিংবদন্তি অভিনেত্রী মাধবী মুখোপাধ্যায়। সভাপতি জয়সূর্য মুখোপাধ্যায়। ফেস্টিভ্যালের এগজিকিউটিভ হেড সুপ্রিয় সোম। তিনি জানালেন, ৩০ দেশের ৬৪ স্বল্প দৈর্ঘ্য়ের ছবি এখানে দেখানো হচ্ছে। উৎসবে যেমন সাঁওতালি ভাষার ছবিকে স্থান দেওয়া হয়েছে, তেমনই বাংলার নবাগত পরিচালকদের ভালো মানের শর্ট ফিল্মকেও জায়গা দেওয়া হয়েছে।
বাইট
শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল উপলক্ষে ICCR-এ হাজির ছিলেন টলিউড ইন্ডাস্ট্রির অনেক নামীদামি তারকারাও। অভিনেতা সাহেব চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে সুদূর ইতালি থেকে আসা আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন অভিনেতারাও এসেছিলেন এই ফেস্টিভ্যালে।
শুধু শর্ট ফিল্ম প্রদর্শনই নয়, তিনদিন ধরে অডিটোরিয়ামে আয়োজন করা হয়েছে ফিল্ম সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের কর্মশালার। আয়োজকদের তরফে অঙ্কিত জানালেন, কলকাতার নবাগত প্রতিভাবান পরিচালক ও অভিনেতা অভিনেত্রীদের সঙ্গে দেশ বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা চলচ্চিত্র জগতের অতিথিদের মিলনক্ষেত্র তৈরি করার উদ্দেশ্যেই এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
টলিউডের প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিত্বরা অবশ্য আয়োজকদের উদ্দেশ্যকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। বিশেষ করে ছবি প্রদর্শনের পাশাপাশি যে কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে, তাতে যে ফিল্মের শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবেন, এবিষয়ে একেবারে নিশ্চিত তাঁরা।
শুধু রুপোলি জগতের তারকারাই নন, ICCR প্রাঙ্গন এদিন মুখরিত ছিল নবাগত তরুণ-তরুণীদের উচ্ছ্বাস ও কোলাহলে। এঁদের কেউ স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি পরিচালনা করছেন, কেউবা আবার অভিনয় জগতে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। আর এই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে গেলে এই ধরনের আন্তর্জাতিক মানের শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের যে কোনও বিকল্প নেই, তা মানছেন চলচ্চিত্র জগতের সকলেই।