উচ্চমাধ্যমিকে নম্বর বাড়ানোর দাবিতে যখন স্কুলে স্কুলে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে ছাত্রছাত্রীরা, তখন উল্টো পুরাণ বীরভূমের নলহাটি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা এক ছাত্রীর নম্বর কমানোর জন্য তাঁর হাতে রেজাল্ট দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ। স্কুলে রেজাল্ট নিতে গেলে প্রধান শিক্ষিকা ছাত্রী এবং তার অভিভাবকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। ফলে আগামী দিনে ছাত্রীর পড়াশোনা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন অভিভাবকরা। যদিও এনিয়ে সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে চাননি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা বিদিশা সিনহা।
নলহাটি পাথর কল পাড়ার বাসিন্দা মাধ্যমিক ছাত্রী অনন্যা মণ্ডল। ২০ জুলাই মাধ্যমিকের ফল ঘোষনার পর ওই ছাত্রী অন লাইনে দেখে তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৫১। ফলাফলে খুশি হয়ে আর পাঁচ জন ছাত্রীর সঙ্গে স্কুল থেকে রেজাল্ট আনতে গিয়ে বিপাকে পরে সে। কারণ স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে মার্কসিট দিতে অস্বীকার করে। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা তাকে জানিয়ে দেয় সে ওই নম্বর পাওয়ার যোগ্য নয়। তার রেজাল্টে ভুল করে ৬৫১ নম্বর চলে এসেছে। রেজাল্ট পর্ষদে পাঠানো হবে। একমাস পরে তার নম্বর সংশোধন করে তারপর হাতে দেওয়া হবে। কয়েকদিন চুপ করে বসে থাকার পর সোমবার ফের স্কুলে যায় রেজাল্ট নিতে। অভিযোগ রেজাল্ট দেওয়া তো দুরের কথা ছাত্রী এবং অভিভাবকের সঙ্গে চূড়ান্ত দুর্ব্যবহার করেন প্রধান শিক্ষিকা।
ছাত্রীর মা নিরুপমা মণ্ডল বলেন, “আমার মেয়ে পড়াশোনায় ভালো। ফলে পর্ষদের নিয়মকানুন মেনেই তাকে নম্বর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রধান শিক্ষিকা বিদিশা সিনহা নিজের ক্ষমতা জাহির করতে রেজাল্ট দিচ্ছে না। এমনকি আমরা স্কুলে ঢুকলে আমাদের দুর্ব্যবহার করে তাড়িয়ে দিচ্ছে। আমরা বিষয়টি জেলা শাসককে লিখিতভাবে জানিয়েছি”।
অনন্যা বলে, “ইচ্ছাকৃতভাবে প্রধান শিক্ষিকা আমার রেজাল্ট আটকে রেখেছে। বলেছে একমাস পর রেজাল্ট দেওয়া হবে। প্রধান শিক্ষিকার আচরনে আমি মানসিকভাবে ভেঙে পরেছি। উনি আমার নম্বর অন্য এক ছাত্রীকে পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন”।
শুধু ওই ছাত্রীর রেজাল্ট আটকে রাখাই নয়, অরুন্ধুতি ফুলমালি নামে এক ছাত্রীর নম্বর পর্ষদে স্কুল কর্তৃপক্ষ পাঠায়নি বলে অভিযোগ। ফলে ওই ছাত্রীর রেজাল্ট আসেনি। রেজাল্ট আনতে গেলে ওই ছাত্রীকে রেজিস্ট্রেশনের টাকা ফেরত দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। তার অভিযোগ স্কুলের ভুলে একটি বছর নষ্ট হতে চলেছে। এখন ঠিক মতো কোথাও বলছেন না শিক্ষিকারা।