Share it

দুর্গাপুজোয় থিম বা আলোকসজ্জা উভয়ক্ষেত্রেই প্রতি বছর নজর কাড়ে কেষ্টপুর প্রফুল্লকাননের পুজো। এবারেও পুজো প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। তবে গতবারের মতো এবারেও রয়েছে করোনার চোখরাঙানি। তাও আবার থার্ড ওয়েভ। তাই পুজোর প্রস্তুতি নিলেও এবার ক্লাব কর্তৃপক্ষ একটু ধীরে চল নীতি নিয়ে এগোচ্ছে।

রবিবার ১ অগাস্ট খুঁটি পুজো দিয়ে শুরু হয়েছে পুজো প্রস্তুতি। উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক স্তরের একঝাঁক তারকা। ছিলেন রাজারহাট-গোপালপুরের বিধায়ক অদিতি মুন্সি, রাজারহাট নিউটাউনের বিধায়ক তাপস চ্যাটার্জি, দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু, কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কোর্ডিনেটর শম্পা চক্রবর্তী সহ ক্লাব সদস্য ও স্থানীয়রা।

পুজোর পাশাপাশি সামাজিক কাজের জন্যও প্রফুল্লকানান দুর্গোৎসব কমিটির পুজো উদ্যোক্তাদের সুনাম রয়েছে। খুঁটি পুজোর দিন তাঁরা একজন থ্যালাসেমিয়া রোগীকে সারা বছর রক্ত দেওয়ার অঙ্গীকার নিয়েছেন। তার জন্য ওই রোগীকে এক বছরের জন্য কার্ড প্রদান করা হয়েছে বলে জানালেন এক পুজো উদ্যোক্তা তথা ক্লাব সম্পাদক রঞ্জিত চক্রবর্তী।

এর পাশাপাশি গত বছরের মতো এবারও কোভিড নিয়ে জনসেবামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ক্লাব। রঞ্জিত চক্রবর্তী জানালেন, গরিবদের হাসপাতালে ভর্তি করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে, কোভিড পরিস্থিতিতে আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা মানুষদের সপ্তাহে দুদিন করে ড্রাই ফুড বিতরণ করা হচ্ছে। স্থানীয় কেউ করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর সেরে উঠলে তাঁর বাড়ি স্যানিটাইজ করে দেওয়া হচ্ছে। আগে ৪টে অক্সিজেন সিলিন্ডার ছিল, এখন আরও ৪টে বাড়িয়ে ৮টা করা হয়েছে। এছাড়া ইয়াশ বিধ্বস্ত পাখিরালয়ে গিয়ে ত্রাণও দেওয়া হচ্ছে।

জমিয়ে জনসেবা তো চলছে তাহলে এবারের লকডাউন পরিস্থিতিতে পুজো পরিকল্পনা কী, দর্শকদের জন্য চমক কী থাকছে ? এর উত্তরে রঞ্জিত চক্রবর্তী বলেন, “কোভিডের জন্য ওপেন এয়ার প্যান্ডেলের ব্যবস্থা থাকবে। চমক তো রাখার চেষ্টা করা হবে। কিন্তু সবটাই নির্ভর করছে সরকারি নির্দেশিকার উপর। থার্ড ওয়েভের সতর্কতা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সরকার কী গাইডলাইন দেয় তা দেখেই পুজোর প্রস্তুতি এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। আপাতত খুঁটি পুজো করা হয়েছে কিন্তু সরকার কী বলে তা দেখে এগনোর জন্য অগাস্টের শেষের দিকে পুজোর কাজে হাত দেওয়া হবে।”

Share it