শ্রীধর মিত্র : রাজ্যসভার ১৫ রাজ্যে ৫৬টি আসনে নির্বাচন ছিল। ইতিমধ্যেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৪১টি আসনে জয়ী হয়েছেন প্রার্থীরা, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি উত্তরপ্রদেশের ১০টি, কর্নাটকে চারটি এবং হিমাচল প্রদেশের একটি আসনে ভোটের ফলাফল অনুযায়ী উত্তরপ্রদেশের বিজেপি আটটি আসনে এবং সমাজবাদী পার্টি দুটি আসনে জয়ী হয়েছে। হিমাচল প্রদেশে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস সরকার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও তাদের প্রবীণ আইনজীবী প্রার্থী অভিষেক মনু সিংভিকে জেতাতে তাতে পারল না।
৬৮ আসনের হিমাচল প্রদেশের কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ৪০ জন, বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ২৫ জন। ফলে কংগ্রেসের অভিষেক মনু সিংভির জয় নিশ্চিত ছিল। কিন্তু প্রথম থেকেই রাজ্যসভার নির্বাচনে কংগ্রেসের অভিযোগের খবর ছড়িয়ে যায়। তাদের অভিযোগ, বিজেপি কংগ্রেসের ছয় বিধায়ককে কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনীর সিআরপিএফ দিয়ে অপহরণ করিয়েছে। নয় জন কংগ্রেস বিধায়ক বিজেপি প্রার্থী বিজেপি প্রার্থী হর্ষ মহাজনকে ভোট দিয়েছেন। তবে এই ‘দল ভাঙানোর’ পরেও ম্যাজিক সংখ্যা পেরোতে পারেনি বিজেপি। দু দলেরই প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৪। তবে পরে টসের মাধ্যমে জয় হয় বিজেপি প্রার্থী হর্ষ মহাজনের। যিনি একসময় কংগ্রেসের বিধায়ক ছিলেন।
এছাড়াও কর্নাটকে চার রাজ্যসভার আসনে নির্বাচন হয়। সেখানে কংগ্রেসের তিনজন ও বিজেপির একজন জেতার কথা থাকলেও বিজেপি-জেডিএস জোট করে চারজন প্রার্থীকে রাজ্যসভার নির্বাচনে দাঁড় করায়। তবে সেই প্রচেষ্টা সফল হয়নি। কংগ্রেসের তিনজন প্রার্থী জয়ী হয়েছেন বলে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন জানিয়েছেন। সেখানে শাসকদলের প্রার্থী কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছেন প্রভাবশালী বিধায়ক বিজেপি-র সোমশেখর গোড়া।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একটা বড় অংশ মনে করছেন, বিরোধী শূন্য রাজনীতি তৈরীর ন্যক্কারজনক দৃষ্টান্ত এদিন স্থাপন করেছে বিজেপি। হিমাচল প্রদেশের একটিমাত্র রাজ্যসভার আসন দখল করার জন্য গেরুয়া শিবির যে ব্যবস্থা করেছে তা স্মরণীতাত কালের মধ্যে ঘটেছে বলে মনে করতে পারছেন না অভিজ্ঞ রাজনীতিকরাও।