শ্রীধর মিত্র : স্বাধীনতার পর এই প্রথম বাংলায় লোকসভা নির্বাচনের আগেই ১৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠাচ্ছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। প্রথম দফায় এক মার্চ ১০০ কোম্পানি এবং ৭ মার্চের মধ্যেই আরও ৫০ কোম্পানি চলে আসছে বাংলায়। তবে বাহিনীর জওয়ানদের যাতে জেলায় জেলায় বসিয়ে না রাখা হয় সেজন্য তৎপর নির্বাচন কমিশনও। এই বিশাল বাহিনীকে বাংলার কোন কোন জেলায় মোতায়েন করা হবে তার তালিকাও তৈরি করে ফেলেছে কমিশন। সেইমত স্পর্শকাতর এবং উওেজনা প্রবণ এলাকাগুলিতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। বতর্মানে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য উওর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি। সেখানে ৫টি পুলিশ এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা ও সেখানকার ভোটাররা যাতে নির্ভয়ে ভোট দিতে পারে তার জন্য ২১ কোম্পানি বাহিনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে আগে থেকেই। এক একটি কোম্পানিতে গড়ে ৮০ থেকে ১০০জন জওয়ান থাকে। পূর্ব বর্ধমান জেলার জন্য ৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী নির্ধারণ করেছে কমিশন। অর্থাৎ এই সপ্তাহের মধ্যেই বাহিনী বঙ্গে আসা শুরু করে দেবে।
চলতি মাস থেকেই বাংলার আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে শুরু করেছে উওর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি এলাকার। প্রশাসনের বিরুদ্ধে অনাস্থার অভিযোগে পথে নেমেছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থক ও স্থানীয় গ্রামবাসীরা। প্রশাসন ও পুলিশের ভূমিকা এবং নিরপেক্ষতা নিয়ে উত্তাল হয়েছে সন্দেশখালি। এর মধ্যেই আগামী ৩ মার্চ বঙ্গে আসতে চলেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের নেতৃত্বে কমিশনের ফুল বেঞ্চ। ৪ মার্চ তাঁরা বৈঠকে বসবেন সমস্ত স্বীকৃত রাজনৈতিক দল, জেলাশাসক, পুলিশ সুপার এবং পুলিশ কমিশনারদের সঙ্গে। ফলে ওইদিন বঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বিরোধীরা কমিশন আধিকারিকদের সামনে সরব হওয়ার সম্ভানা থেকে যাচ্ছে।
ইতিমধ্যেই প্রধান বিরোধী দল বিজেপির পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার সিইও দপ্তরে আসে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল। সংশোধিত ভোটার তালিকায় ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রে ১৬ লক্ষ ৫১ হাজারের বেশি ভোটারের নাম সহ তালিকা তুলে দেন তাঁরা সিইও-র হাতে। ওই অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য ১০ দিন সময় চেযেছেন সিইও। এখানে সমাধান না মিললে কমিশনের ফুল বেঞ্চর কাছেও অভিযোগ জানানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এর প্রেক্ষিতে সিইও সমস্ত জেলা শাসকদের ২ মার্চের মধ্যেই বিজেপির অভিযোগ খতিয়ে দেখে তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে কলকাতার সিইও অফিসে।