নিউজ ওয়েভ ইন্ডিয়া: অন্যান্যবারের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গে এবার আলুর ফলন বেশ কম। তার জেরে এবার জেলায় জেলায় আলুর হিমঘরগুলি কতটা ভর্তি হবে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই সংশয় দেখা দিয়েছে আলু ব্যবসায়ীদের মধ্যে। এদিকে, মাঠ থেকে আলু তোলার কাজ প্রায় শেষের দিকে। মাঠে এখন আর ১০ শতাংশও আলু নেই। কিন্তু, হুগলি জেলার হিমঘরগুলিতে এখনও ৫০ শতাংশও আলু লোড হয়নি। কম ফলনের দরুন হিমঘরগুলি না ভরলে বছরভর আলুর চড়া দাম থাকবে বলেই মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

হুগলী জেলার পান্ডুয়ার আলাসিনের একটি কোল্ড স্টোরেজে আলু লোডিংয়ের ক্যাপাসিটি সাড়ে ছয় থেকে সাত লাখ প্যাকেট। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখা গেল স্টোর চত্ত্বর ফাঁকা, নেই লোডিংয়ের জন্য আলু ভর্তি ট্রাক্টরের লাইন। ধু ধু করছে শেডের ভিতরের অংশও অর্থাৎ হিমঘর যতটা ভরার কথা ছিল ততটা ভরেনি, প্রায় ফাঁকা।

হুগলির অনেক হিমঘরেই ৪০ শতাংশও আলু লোডিং হয়নি। এখন মাঠে আলুর বাজার অর্থাৎ চাষির দাম প্রায় ৪২০ থেকে ৪৪০ টাকা করে বস্তা। অর্থাৎ কম দামেই আলু লোড হচ্ছে হিমঘরগুলিতে। আর আলুর ফ্রি-বন্ডের দাম এখন প্রায় ৪৭০ থেকে ৪৮০ টাকা বস্তা।
তাই ব্যবসায়ীদের কথায়, “হিমঘরগুলিতে আলু সঞ্চয়ের পরিমাণ কম থাকায় বাংলায় সারা বছরই চড়া থাকতে পারে আলুর দাম।“ যদিও উত্তরপ্রদেশে আলুর দাম বাংলার তুলনায় কম থাকায় আলু কিনতে ভয় পাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।