রুনা খামারু, হুগলি: গ্রামের দিকে মাঠের পর মাঠ এখন শুধু আলু তোলার ছবি। লাঙলের ফলার চাপে উঠে আসছে সোনালি রঙের এই ফসল। রাজ্যের প্রধান অর্থকরী ফসল আলু চাষকে ঘিরে সারা বছর আশায় বুক বাঁধে গ্রাম বাংলার বহু কৃষক পরিবার। তবে এবার তাদের সেই আশায় বাধ সেধেছে ফসলের দাম। চাষিভাইদের কথায়, শীতের মরশুমে বহু খরচ করে চাষ করলেও লাভ তো দূরের কথা, উঠছে না চাষের খরচই, ফলে আলু চাষে এবার দেখতে হচ্ছে ডাহা লোকসানের মুখ। ফলে চাষের ভরসায় সংসার চালানোই দুষ্কর হয়ে উঠছে এবার।

হুগলির কৃষকদের কথায়, চাষের জন্য প্রতি বছর গাড়ি গাড়ি আলুর বীজ আসে পঞ্জাব থেকে। নতুন আলুর সেই বীজ, সার, জল, কীটনাশক, আলু বসানো ও তোলার দরুণ শ্রমিকের দাম সব মিলিয়ে বিঘে প্রতি আলু চাষে খরচ হয় ২৫ থেকে ২৮ হাজার টাকা। শীতের শেষে এবার আলু ওঠার সময় প্রথম দিকে বস্তা প্রতি আলুর দাম ছিল ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা। তার দিক কয়েক পর এখন সেই দাম কিছুটা বেড়ে হয়েছে প্রায় ৩৮০ টাকা বস্তা। বিঘা প্রতি এবার আলু হয়েছে ৫০ থেকে ৮০ বস্তা। তাহলে হিসেব কষে দেখলেই বোঝা যাবে চাষের খরচই উঠছে না আলু বিক্রি করে। সংসারের খরচ সামলানো তো দূরের কথা।

হুগলির আলু চাষিরা আরও বলেন, “গত বছর আলুর ফলন বেশি ছিল। বিঘা প্রতি ৭০ থেকে ১০০ বস্তা করে আলু হয়েছিল। কিন্তু এবার ফলন কমে বিঘা প্রতি ৫০ থেকে ৮০ বস্তা হয়েছে।“
ফলে একদিকে আলুর দাম নেই, তার উপর ফলন কম, জোড়া ফলায় বিধ্বস্ত গ্রাম বাংলার আলু চাষিরা।