শূন্য পড়ে রয়েছে বহু বেড
Share it

রয়েছে সেফ হোম। সদা প্রস্তুত চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরা। রয়েছে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম। শুধু দেখা নেই করোনা আক্রান্ত রোগীর। ফলে মনোরম পরিবেশের সেফ হোম এখন শুনশান। এমনই ছবি ধরা পড়েছে বীরভূমের মুরারই ১ নম্বর ব্লকের আম্ভুয়া গ্রামে।

এখানেই সেফ হোম গড়ে তোলা হয়েছে
এখানেই সেফ হোম গড়ে তোলা হয়েছে

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মুরারই ১ ও ২ নম্বর ব্লকের একদিকে ঝাড়খণ্ড সীমানা, অন্যদিকে মুর্শিদাবাদ। এলাকার প্রধান শিল্প বলতে পাথর শিল্প। এছাড়া এলাকার বহু মানুষ কাজের তাগিদে ভিন রাজ্যে যান। গত বছরের লকডাউনে বাড়ি ফেরা সেই সমস্ত শ্রমিকদের থেকেই প্রথম শুরু হয় করোনা। এখনও প্রতিদিন গড়ে ১০-২০ জন করে মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এলাকায় সেফ হোম করার পরিকল্পনা নেয় স্বাস্থ্য দফতর। সেই মতো রাজগ্রাম সংলগ্ন আম্ভুয়া গভর্নমেন্ট মডেল স্কুলে একশো শয্যার সেফ হোম গড়ে তোলা হয়েছে। ফাঁকা জায়গা, মনোরম পরিবেশে ওই সেফ হোম গড়ে তোলা হয়েছে। কিন্তু রোগীর সংখ্যা একেবারেই নগণ্য। শনিবার পর্যন্ত মাত্র ন’জন রোগী সেফ হোমে চিকিৎসাধীন। অথচ সেখানে রোগীদের দেখভালের জন্য রয়েছেন একজন চিকিৎসক, তিনজন নার্স, চারজন স্বাস্থ্যকর্মী। রোগীদের নিয়ে আসার জন্য রয়েছে অ্যাম্বুলেন্স। কিন্তু রোগীর সংখ্যা একেবারেই নেই বলেই চলে।
নোটিস দেওয়া হয়েছে রোগীদের জন্য
নোটিস দেওয়া হয়েছে রোগীদের জন্য

সেফ হোমের চিকিৎসক শুভঙ্কর পাত্র বলেন, “এখানে রোগীদের জন্য সমস্ত রকম ব্যবস্থা রয়েছে। পর্যাপ্ত অক্সিজেন সহ সমস্ত সরঞ্জাম রয়েছে। রোগীর প্রয়োজন মতো খাদ্য তালিকা করা হয়েছে। গরম জল দেওয়া হচ্ছে। সকালে-বিকেলে গোলমরিচ গুঁড়ো দিয়ে চা দেওয়া হচ্ছে। ১৪ দিন অন্তর সেফ হোম স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। করোনা রোগীদের সমস্ত তথ্য বোর্ডে লিপিবদ্ধ করে রাখা হচ্ছে। যাতে সহজেই রোগীর সমস্ত তথ্য পাওয়া যাবে। তবে একটি রোগীর সঙ্গে আরেকটি রোগীর মাঝে একটি পর্দা দেওয়া প্রয়োজন। আসা করছি সেটাও দ্রুত হয়ে যাবে। আমরা দুটি ব্লকের আধিকারিকদের রোগীদের সেফ হোমে পাঠানোর জন্য বলেছি। তবুও রোগীর সংখ্যা কম।”

মুরারই ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি বিপ্লব শর্মা বলেন, “বিষয়টি নিয়ে আমরাও চিন্তিত। আমরা এনিয়ে কয়েকবার বৈঠক করেছি। সেখানেই সিদ্ধান্ত নিয়ে আশাকর্মীদের দিয়ে গ্রামে গ্রামে সচেতনতা প্রচার চালান হচ্ছে। করোনা আক্রান্ত যে সমস্ত রোগীর অক্সিজেনের প্রয়োজন তাদের সেফ হোমে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।”

Share it