ঘূর্ণীঝড় ‘যশ’-এর মোকাবিলায় রবিবার জরুরি বৈঠক ডাকলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কয়েকজন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের মন্ত্রী ও তাদের আধিকারিকদের সঙ্গে এই বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠকে থাকবেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর (NDMA), টেলিকম, বিদ্যুৎ, অসামরিক বিমান চলাচল ও বিজ্ঞান মন্ত্রকের সচিব ও আধিকারিকরা।
২৬ মে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়ার আশঙ্কা ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’-এর। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, এই মুহূর্তে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ ক্রমশ শক্তি সঞ্চয় করছে। ভারতীয় নৌবাহিনীর তরফে নিম্নচাপের গতি প্রকৃতির দিকে প্রতিনিয়ত নজর রাখা হচ্ছে। হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যান্ড ডিজাস্টার রিলিফ (HADR)-এর আওতায় নৌবাহিনীর ৪টি জাহাজকে তৈরি রাখা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা উপকূলে কোথাও ক্ষয়ক্ষতি হলে সেখানে ত্রাণ ও অন্য সরঞ্জাম নিয়ে পৌঁছে দেবে এই জাহাজগুলি। এ ছাড়া বিশাখাপত্তনমে INS ডেগা ও চেন্নাইয়ে INS রজলিকে তৈরি রাখা হয়েছে। কেন্দ্র জানিয়েছে, প্রয়োজন পড়লে নৌবাহিনীর বিমানে করে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে আনার কাজ করা হবে।
পাশাপাশি কেন্দ্র জানিয়েছে, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৬৫টি দলকে মোতায়েন করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায়। এ ছাড়া আরও ২০টি দলকে তৈরি রাখা রয়েছে। প্রয়োজন পড়লে তাদেরও কাজে নামানো হবে। নৌবাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও উপকূলরক্ষী বাহিনীকেও তৈরি রাখা হয়েছে। প্রয়োজন পড়লে তাদেরও উদ্ধার কাজ ও অন্যান্য সাহায্যে নামানো হবে।
এদিকে তৎপরতায় পিছিয়ে নেই রাজ্য প্রশাসনও। ‘যশ’ ঘূর্ণিঝড়ের আগে পর্যালোচনা বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবিষয়ে নিজেই টুইট করে জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। টুইট বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, ‘দুপুরে ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে সম্পর্কিত জেলাগুলির DM এবং SP, সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সংস্থার সমস্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিপর্যয় মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করেছি। শনিবার থেকেই প্রশাসনিক স্তরে কার্যত যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।’
টুইট বার্তায় তিনি আরও জানান, ‘রাজ্যের সমস্ত আধিকারিকদের ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার আশ্রয়কেন্দ্রগুলি নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় ও নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে থেকে মানুষকে সরিয়ে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং ত্রাণ ও পুনর্বাসনের কাজ দ্রুত শুরু করতে বলা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের অবিলম্বে ফিরে আসার বার্তা দেওয়া হয়েছে। স্থাপন করা হয়েছে ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম। এই কন্ট্রোল রুমের নম্বর (1070 এবং 033-22143526)। সমস্ত এজেন্সিকে তৎপর থাকতে বলা হয়েছে। ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হয়েছে এবং ক্যুইক রেসপন্স টিমকেও তৎপর থাকতে বলা হয়েছে। আমি সবাইকে সজাগ থাকার জন্য অনুরোধ করছি।’