ফের বিজেপি প্রভাবিত গ্রামে লুঠপাট চালাতে গিয়ে গ্রামবাসীদের প্রতিরোধে জখম হল ৭ জন দুষ্কৃতী। তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। জখমদের সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ধৃত এক দুষ্কৃতী। এই ঘটনার পাল্টা হিসাবে শনিবার সকালে চার তৃণমূল নেতার বাড়িতে লুঠপাট চালানোর অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে।
ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার রাতে। বীরভূমের খয়রাশোল থানার পাঁচড়া অঞ্চলের মুক্তিনগর গ্রামে ১০-১২ টি মোটরবাইকে ২০-২৫ জন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী গ্রামে ঢোকে বলে অভিযোগ। তাদের বাড়ি পাঁচড়া অঞ্চলের আমজোলা এবং ভরাবাজার এলাকায়। দুষ্কৃতীরা গ্রামে ঢুকে লুঠপাট চালায় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে গ্রামের দুটি রাস্তা ঘিরে ফেলে। বিপদ বুঝে দুষ্কৃতীরা বোমা ফাটিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু গ্রামবাসীদের বাধায় তারা পালাতে পারেনি। গণপ্রহারে জখম হন সাতজন দুষ্কৃতী।
খবর পেয়ে রাতেই গ্রামে পৌঁছয় খয়রাশোল থানার পুলিশ। তাদের উদ্ধার করে সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানেই কান্তি বাউরি (২৬) নামে একজনের মৃত্যু হয়। সেখান থেকে চারজনকে দুর্গাপুরে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গ্রামের বাসিন্দা রমাপতি সরকার, মহারাজ হালদার, ধনঞ্জয় বিশ্বাসরা বলেন, “ভোটের ফলাফল বের হওয়ার পর থেকেই গ্রামে অত্যাচার শুরু করেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। প্রতিনিয়ত গ্রামে বোমাবাজি করে গ্রামবাসীদের আতঙ্কিত করে রেখেছিল। শুক্রবার রাতে গ্রামে মদের আসর বসিয়েছিল। এরপরেই লুঠপাট শুরু করে। গ্রামবাসীদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে যাওয়ায় তারা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। জনরোষে কয়েকজন জখম হয়েছে।”
দুবরাজপুরের বিধায়ক বিজেপির অনুপ সাহা বলেন, “হেরে যাওয়ার পরও তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা অত্যাচার চালাচ্ছে। গ্রামের মানুষ নিজেদের সম্পত্তি বাঁচাতে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।”
তৃণমূল নেতা কিশোর মণ্ডল বলেন, “করোনা প্রভাব নিয়ে ওই গ্রামে একটি বৈঠক চলছিল। রাতে খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা ছিল। খাবার খেতে যাওয়ার সময় বিজেপি আমাদের কর্মী সমর্থকদের উপর আক্রমণ চালায়। শনিবার সকালে আমাদের পঞ্চায়েত সমিতিরি সদস্য রজত মুখোপাধ্যায় সহ চার তৃণমূল নেতার বাড়িতে ভাঙচুর চালায় বিজেপি। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় তৃণমূলের অঞ্চল কার্যালয়ে।”
যদিও অনুপবাবুর দাবি, “তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে তাদের বাড়িতে লুঠপাট চলেছে। পার্টি অফিসে হামলা চালিয়েছে নিজেরাই।”