এবার বীরভূম জেলার সন্ত্রাস কবলিত এলাকা পরিদর্শন করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। তুললেন ছবি। ক্যামেরা বন্দি করলেন মানুষের যন্ত্রণার প্রতিছবি। তবে সাংবাদিকদের সামনে মুখ খুললেন না কেউ।
নির্বাচন পরবর্তী হিংসায় বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি উত্তপ্ত বীরভূম জেলা। ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই জেলা জুড়ে চলছে তাণ্ডব। কমপক্ষে ২০০০ বিজেপি নেতা-কর্মীর বাড়ি, দোকান, রিসর্ট, গাড়ি, বাইক, ট্রক্টর ভাঙচুর করা হয়। বহু জায়গায় বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় একাধিক বিজেপি নেতা-কর্মীর। কয়েকশো পরিবার গ্রামছাড়া। প্রত্যেকটি ঘটনায় অভিযোগের তির ছিল তৃণমূলের দিকে।
হিংসা রুখতে বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠি সাংবাদিক বৈঠক করে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার আবেদন জানান। কিন্তু তাতেও অশান্তি অব্যাহত। জেলার মধ্যে সর্বাধিক হিংসা ছড়িয়ে পড়ে নানুর, বোলপুর, লাভপুর, ইলামবাজার, পাড়ুই, মহম্মদবাজার, দুবরাজপুর, সাঁইথিয়া এলাকায়। হিংসার ছবি দেখতে শনিবার বোলপুরের পারুলডাঙা মাঠে সেনা হেলিকাপ্টারে নামে চার সদস্যের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল।
সেখান থেকে তারা কেন্দ্রীয়বাহিনীর নিরাপত্তায় প্রথমেই চলে যান নানুর বিধানসভার উদয়পুর গ্রাম। এরপর বিজেপি প্রার্থী তারক সাহাকে সঙ্গে নিয়ে পাকুড়হাঁস, গোয়ালডিহি গ্রামে যান। বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেন। নিজেদের মতো করে তারা হিংসার পরবর্তী ছবি ক্যামেরা বন্দি করেন। সাংবাদিকদের জানিয়ে যান এই রিপোর্ট দিল্লিতে গিয়ে জমা দেওয়া হবে।
বিজেপি প্রার্থী তারক সাহা বলেন, “তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা গ্রামকে গ্রাম লুঠপাট ভাঙচুর করেছে। প্রতিটি গ্রামে ৭০-৮০ টি করে পরিবার গ্রাম ছাড়া। কেউ কেউ আমাদের আশ্রয়ে আছে। কেউ কেউ কথায় গিয়েছে তার কোন হদিশ নেই। এখন সন্ত্রাস চলছে। পুলিশকে জানিয়েছি। কিন্তু পুলিশ কোন পদক্ষেপ নেয়নি। রাতে কোন বাড়িতে মানুষ থাকতে পারছে না। মাঠে ঘাটে রাত কাতাচ্ছে। গরু, ছাগল সব লুঠ করে নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা।”