ছেলেকে না পেয়ে মেরে হাত পা ভাঙল বাবার। অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাবাকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে, বীরভূমের ময়ূরেশ্বর বিধানসভার মল্লারপুর থানার কোট গ্রামে। জখম বিজেপি সমর্থকের নাম শেখ জাকির হোসেন। এক সময় কংগ্রেস নেতা জাকিরের দাপটে এলাকায় বাঘে গরুতে এক ঘাটে জল খেতে বলে এলাকার মানুষ জানেন। পরে তিনি তৃণমূলে যোগদান করেন। বর্তমানে বিজেপি।
তাঁর এক ছেলে নাসিরুদ্দিন শেখও বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে ভোট করেছিল। তৃণমূলের হুমকিতে ভোট গণনার পর থেকেই নাসিরুদ্দিন গ্রাম ছাড়া। এরপরেই দিন দুয়েক আগে জাকিরের কামড়াঘাটের বাড়িতে প্রথমে আক্রম করে দুষ্কৃতীরা। ভেঙে দেওয়া হয় দোকান। শনিবার মোটরবাইকে সেই ক্ষয়ক্ষতি দেখতে কামড়াঘাটে গিয়েছিলেন তিনি। সন্ত্রাসের ছবি দেখে বাড়ি ফিরছিলেন। গ্রাম ঢোকার মুখে জনা পাঁচেক তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী তার পথ আটকে মারধর শুরু করে। লোহার রোড, বাঁশ, লাঠি দিয়ে মেরে ভেঙে দেওয়া হয় ডান পা এবং বাম হাত। এলাকার মানুষ ছুটে এলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়।
জাকির বলেন, “আগেই আমার দোকান ভাঙচুর করেছে। মল্লারপুর থানায় অভিযোগ জানাতে গেলেও তা নেওয়া হয়নি। ফলে দুষ্কৃতীরা পুলিশের মদত পেয়েই আমার উপর হামলা চালাল। আমি এবার বিজেপির বুথ এজেন্ট ছিলাম। ছেলেও বিজেপির ভোট করেছে। সেই আক্রোশে ছেলেকে খুনের চক্রান্ত করেছিল। ছেলে ভয়ে গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছে। এবার ছেলেকে না পেয়ে আমাকে মারল।”
তৃণমূলের জেলা পরিষদের কো-মেন্টর ধীরেন্দ্র মোহন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোন যোগ নেই। জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে দুই দশক আগে ৯ জনকে খুনের মামলা রয়েছে। সেই মামলা আজ বিচারাধীন। ফলে তাকে মারধর সেই ঘটনার জেরেও হতে পারে। আমরা পুলিশকে বলেছি যারা হিংসা ছড়াবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।”