নিউজ ওয়েভ ইন্ডিয়া: লক্ষ্মী ভাণ্ডারের ফর্ম জমা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে এক গৃহবধূর চুল কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে। পুলিশ এই ঘটনায় এক মহিলাকে গ্রেফতার করলেও বাকিরা এখনও অধরা। ঘটনার নাহ্য বিচারের দাবিতে জেলা বীরভূম শাসক ও পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হন ওই নির্যাতিতা মহিলা।
ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের নলহাটি শহরের সিংহবাহিনী রাস্তায়। নির্যাতিতা মহিলার বাপের বাড়ি নলহাটি শহরে। বিয়ে হয়েছে মুরারইয়ে। বৃহস্পতিবার নলহাটি বাপের বাড়ি আসেন ওই নির্যাতিতা। এরপরেই নির্যাতিতা লক্ষ্মী ভান্ডার ফর্ম ফিলাপ করতে যান তিনি। তাঁর অভিযোগ, বাড়ি ফেরার সময় তাকে কয়েকজন অনুসরণ করতে শুরু করে। বাড়ি ফেরার পথে একটি বাড়িতে গেলে সেখানে দুজন মহিলা ও দুজন পুরুষ তাকে ধরে টানাহেঁচড়া শুরু করে। তারপর তার উপর শারীরিক অত্যাচার চালানো হয়। মারধরের পাশাপাশি তার চুল কেটে নেওয়া হয়।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই নির্যাতিতা নলহাটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সাইরা বিবি নামে এক মহিলাকে গ্রেফতার করে। কিন্তু মুল অভিযুক্তদের এখন ধরা হচ্ছে না এই অভিযোগে শুক্রবার ওই মহিলা বীরভূম জেলা পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হন। নির্যাতিতার দাবি, তাঁর কাছে মোটা অঙ্কের টাকা ছিল। দুষ্কৃতীরা তা কেড়ে নিয়েছে। সেই সঙ্গে মোবাইল এবং সোনার চেন কেড়ে নিয়েছে। এমনকি তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলারও চেষ্টা করেছিল বলে অভিযোগ।
যদিও পুলিশের দাবি, টাকা পয়সার লেনদেন নিয়ে পুরনো আক্রোশ বশত এই ঘটনা ঘটেছে। তবে মহিলার উপর নির্যাতন এবং চুল কেটে নেওয়া অমানবিক হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি বলেন, “এখনও পর্যন্ত এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদেরও ধরা হবে।”