Share it

শ্রীধর মিত্র : পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের আজ চতুর্থ দিনে ২০২৪-২০২৫ অর্থবর্ষের (West Bengal Budget 2024-25) জন্য ৩,৬৬,১১৬ কোটি টাকা (নিট) বাজেট বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থ দপ্তরের (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত) রাষ্ট্রমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya) আজকের সভায় ওই বাজেট প্রস্তাব পেশ করেন। যদিও আজকের সভায় শুরুতেই রাজ্য সঙ্গীত নিয়ে বিতর্ক দানা বাধে। সূচনা পর্বে তা চলবে জানাতেই আপত্তি ওঠে। দেশের জাতীয় সঙ্গীতের পরিবর্তে বাংলার জাতীয় সঙ্গীত কেন এ নিয়ে বিরোধী বেঞ্চ তীব্র আপত্তি জানিয়েছে।

বিরোধী দলনেতা, শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নেতৃত্বে বিজেপির সদস্যরা এর তীব্র বিরোধিতা করেন। এরপর চলতে থাকে বাজেট পাঠ। মাঝেমধ্যেই গোলমাল বাধে এবং হৈ চৈ শোনা যায়। বিঘ্ন ঘটে যদিও বাজেট পাঠ করে যান তিনি। বিশেষ কিছু অংশের জন্য প্রবলভাবেই আপত্তি তোলে বিরোধী শিবির। পরিস্থিতি সামাল দিতে অধ্যক্ষ বারংবার বিরোধী বেঞ্চের কাছে সভা চলাকালীন অশান্তি না করতে অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, “সাধারণ বাজেট নিয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করুন এখনকার আপত্তি জনক বক্তব্য ওই সময়ে বলার সুযোগ থাকছে। এইভাবে নিরস্ত্র করেন তাদের। সরকারি কর্মীদের জন্য ৪% হারে মহার্ঘ্য ভাতা ঘোষণা করা হয়েছে। চলতি বছরের আগামী মে মাস থেকেই তা লাগু হবে।”

উল্লেখ্য, গত জানুয়ারি মাসে ৪% ডিএ (DA) দিয়েছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই শিক্ষক, পেনশনার ও রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা বিশেষ আর্থিক সুবিধা পেয়েছেন। ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পে ৫০০ টাকা থেকে আর্থিক সাহায্য ১০০০/-টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। তপশিলি জাতি, উপজাতিদের ক্ষেত্রে তা বেড়ে হচ্ছে ১২০০ টাকা। প্রায় ঘণ্টাখানেকের বেশি সময় ধরে চলে বাজেট পাঠ পর্ব। ‘সমুদ্রসাথী’ প্রকল্পে মৎস্যজীবীরা পাবেন মাসে ৫০০০ টাকা করে। ‘কর্মশ্রী’ নামে আসছে নতুন প্রকল্প। কেন্দ্রের ১০০ দিনের কাজের পালটা হিসাবে বাজেটে এই প্রকল্পের উল্লেখ করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় জব কার্ড হোল্ডাররা ৫০ দিনের কাজ পাবেন।

বিধানসভার কক্ষে আজ বাজেট পাঠের কিছুক্ষণ পরেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ দলের সদস্যরা প্রচার মাধ্যমের দ্বারস্থ হয়েছেন। তিনি বলেন, “ভোটের মুখে কপিল মুনিকে ধরে বাঁচতে চাইছেন তিনি গঙ্গাসাগর সেতু গড়ার কথা সেই কারণেই। এটা ভোটের প্রচার ছাড়া কিছু নয়। আজকের সভায় প্রথমে ১-১০ ও পরে ১১২ থেকে ১২৪ পাতা পর্যন্ত পাঠ করেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এদিকে, লোকসভা নির্বাচনের কথা মনে রেখে এই প্রস্তাব রাখা হয়েছে। শিলান্যাস করতে চাইছেন। জলের তলায় চলে যাবে।”

বিজেপি বিধিয়ক অশোক কুমার লাহিড়ি (Ashok Kumar Lahiri) বলেন, “সেচ দপ্তর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়নি। কর্মসংস্থানের কথা বলা হয়নি সুস্পষ্টভাবে।”

Share it