উত্তরাখণ্ডে ব্যাপক হিমবাহ ধস
Share it

ভয়াবহ হিমবাস ধসে ভেসে গেল উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলা। রবিবার জোশীমঠের কাছে প্রবল এই তুষারধসে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও জীবনহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। তীব্র জলোচ্ছ্বাসে একের পর এক গ্রাম ভেসে ভেসে গেছে। আশপাশের এলাকাগুলি খালি করার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। অলকানন্দা নদীতে ঋষিগঙ্গা বাঁধ ও ধৌলিগঙ্গার বাঁধে ব্যাপক ভাবে ফাটল দেখা দিয়েছে।


ঋষিগঙ্গা বিদ্যুৎ প্রকল্পে কর্মরত ১৫০ জনেরও বেশি শ্রমিকের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। বিধ্বংসী তুষারধসের জেরে চার জেলায় হাই অ্যালার্ট জারি করেছে উত্তরাখণ্ড প্রশাসন। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ইতিমধ্যেই উদ্ধারকাজে নেমেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও ITBP-এর জওয়ানরা। ঘটনাস্থলে গেছেন মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত।


এদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিষয়টি নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে। কথা হয়েছে উত্তরাখণ্ড মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও। নয়াদিল্লি থেকে আরও NDRF দলকে এয়ারলিফট করে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। উত্তরাখণ্ডের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে ছয় কলাম ভারতীয় সেনাও। উত্তরাখণ্ড সরকারকে চপার দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা।


উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন,বিপর্যয়ের প্রেক্ষিতে হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা কেন্দ্রের ফোন নম্বর ১০৭০ ও ৯৫৫৭৪৪৪৪৮৬। কোনও পুরনো ভিডিওর ছবি দেখে গুজব না ছড়ানোর ব্যাপারেও অনুরোধ করেছেন টিএস রাওয়াত।


প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও উত্তরাখণ্ডে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এক টুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, ‘দেশবাসী উত্তরাখণ্ডের পাশেই রয়েছে। উত্তরাখণ্ডের বিপন্নদের জন্য প্রার্থনা করছে গোটা দেশবাসী। আমি নিজে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গে কথা বলেছি। উদ্ধার কাজের প্রতি মুহূর্তের খবর রাখছি আমি’।


২০২১ এর ৭ ফেব্রুয়ারির ঘটনা ফিরিয়ে আনল ২০১৩ সালের দুঃসহ স্মৃতি। সেবার ভয়াবহ মেঘভাঙা বৃষ্টি ও হরপা বানে ভেসে গিয়েছিল উত্তরাখণ্ডের বিস্তীর্ণ এলাকা। মৃত্যু হয়েছিল ৬ হাজারেরও বেশি মানুষের। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল কেদারনাথ মন্দিরও।

Share it