রাজ্যে এবার ভাতা পাবেন পুরোহিতরাও। সোমবার নবান্নে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভাতা মাসে এক হাজার টাকা। পাশাপাশি বাংলা আবাস যোজনায় দুঃস্থ পুরোহিতদের বাড়িও তৈরি করে দেওয়া হবে। পুজো মাস থেকেই প্রাথমিকভাবে ৮ হাজার পুরোহিত এই সুবিধা পাবেন। তৃণমূল সরকার আগেই ইমাম-মোয়াজ্জেমদের ভাতা চালু করেছিল।
Warm wishes on #HindiDiwas.Bengal is a land of inclusivity and through our persistent efforts we have proudly inculcated Tagore’s values of ‘Unity in Diversity’.GoWB has taken various initiatives to strengthen Hindi Education, Culture and Welfare of the community in Bengal (1/2)
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) September 14, 2020
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার বলেন, “ইমাম-মোয়াজ্জেমরা সামাজিক কাজ করেন। তাঁরা ভাতা পান। হিন্দুদের মধ্যে এমন কিছু নেই। সনাতন ধর্মে ব্রাহ্মণরা পুজো করেন, তাঁদের অনেকের আর্থিক অবস্থাও খুব খারাপ। কোনও সুযোগ-সুবিধা পান না। তাঁরা অনেক আগেই আমার কাছে আবেদন করেছিলেন। আট হাজারের তালিকা আমরা পেয়েছি। কোলাঘাটে সনাতন ধর্মের তীর্থস্থানের জন্য জমিরও ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে।”
GoWB has constantly persevered to undertake inclusive development for all by giving recognition to Hindi, Urdu, Gurmukhi, Ol Chiki, Rajbanshi, Kamtapuri, Kurukh languages. I urge the Centre to follow suit by also including Bengali as a classical language in NEP 2020. (2/2)
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) September 14, 2020
আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা ভোট। বিরোধীরা যাতে কোনও বিশেষ সম্প্রদায়ের প্রতি পক্ষপাতের অভিযোগ না তোলে তার জন্যই সরকারের এই পদক্ষেপ বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন। বিশেষ করে, দুঃস্থ পুরোহিতদের জন্য ভাতা চালু করার পর এই মত আরও জোরালো হয়েছে।
পুরোহিত ভাতা ঘোষণা করার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের সংস্কৃতি রক্ষায় গ্রামেগঞ্জে প্রাচীন মন্দির-মসজিদ-গির্জাগুলির অবস্থা দেখে সেগুলোর সংস্কার ও উন্নয়নেরও একগুচ্ছ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেছেন, বিষ্ণপুরের তিন হাজার অপ্রকাশিত সংস্কৃত পুঁথি রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ডিজিটাইজ্ড করা হবে। এরপর সেগুলি পাবলিক ডমেইনে যুক্ত করা হবে যাতে গবেষকরা তা পড়তে পারেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার রাজ্যের হিন্দি অ্যাকাডেমির পুনর্গঠন, দলিত সাহিত্য প্রসারে নয়া দলিত সাহিত্য অ্যাকাডেমি গঠন এবং মতুয়া উন্নয়ন পর্ষদ পুনর্গঠনের কথা ঘোষণা করেন। হিন্দি অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন সাংসদ বিবেক গুপ্তাকে। দলিত সাহিত্য অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যান হয়েছেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী।