সুদীপ্ত চক্রবর্তী, গঙ্গাসাগর: মহাতীর্থ গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় মেলার স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানালেন ইসকন মায়াপুরের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস। গঙ্গাসাগরে ইসকনের অফিসে এক সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। রসিক গৌরাঙ্গ দাস বলেন, “এই পুণ্যভূমির মাহাত্ম্য সর্বজনবিদিত। ইতিমধ্যেই রাজ্য় সরকারের উদ্যোগে এই মেলা আন্তর্জাতিক রূপ পেয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “এই গঙ্গাসাগরে ১৯ বছর ধরে মানবসেবা করে আসছে ইসকন। প্রতি বছরের মতো এবারেও মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে গঙ্গাসাগর মেলায় ইসকনের তরফে সেবা শিবির তৈরি করা হয়েছে। ১০ জানুয়ারি থেকে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত এই সেবা শিবির চলে।”
ইসকন মায়াপুরের জনসংযোগ আধিকারিক আরও জানান, ‘এই শিবিরে ৬০০ স্বেচ্ছাসেবক নিরলসভাবে দিনরাত সেবায় নিযুক্ত ছিলেন। পুণ্যার্থীদের অস্থায়ী রাত্রিকালীন বাসস্থানের ব্যবস্থাও করে দেওয়া হয়েছে। এবারে ১ লক্ষ তীর্থযাত্রীদের জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পেটভরে প্রসাদ বিতরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি, বিনামূল্যে চিকিৎসা শিবির ও কম্বল বিতরণ ও ৪০০০ কপি গীতা বিতরণের বন্দোবস্ত রাখা হয়েছিল।’
রসিক গৌরাঙ্গ দাস জানিয়েছেন, ‘বিশ্বশান্তি ও বিশ্বভ্রাতৃত্ববোধ জাগরণের জন্য প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা এবং বিকেল ৪টে থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত সমুদ্র সৈকতে মহা হরিনাম সংকীর্তনের আয়োজন করা হয়েছিল। ৩০ জন বিদেশি ভক্ত এই হরিনাম সংকীর্তনে অংশগ্রহণ করেছেন। এছাড়াও মেলার সাফল্য ও তীর্থযাত্রীদের মঙ্গলের জন্য ১৩ থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বিশেষ যজ্ঞেরও আয়োজন করা হয় ইসকনের তরফে। এই যজ্ঞানুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা ও ইসকনের সন্ন্যাসীরা।’