Share it

“এবার নজরবন্দি করলে আদালতে যাবে।” তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal) এমনই নির্দেশ দিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শনিবার বোলপুরের গীতাঞ্জলী প্রেক্ষাগৃহে এমনই নির্দেশ দেন মমতা।

হাইকোর্টের নির্দেশ এবং কমিশনের গুঁতোয় শাসক বিরোধী সব দল বড় জনসভা, মিছিল বন্ধ করে দিয়েছে। শাসক তৃণমূল সাতটা সভা বাতিল করেছে। বাতিল করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শা। ফলে এদিন বোলপুরের গীতাঞ্জলী প্রেক্ষাগৃহে একটি ছোট সভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব সহ বীরভূম জেলার ১১ টি বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থীরা। সভা মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী ভারতের নির্বাচন কমিশন ও বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করেন।

মমতা বলেন, “বীরভূম খুব শান্ত জায়গা। কিন্তু বীরভূমের উপর কমিশনের রাগ রয়েছে। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বীরভূমে অনেক কাজ করেছে। সেই বীরভূমে কেষ্টর উপর ওদের খুবই রাগ। প্রতিবার নির্বাচনের সময় কেষ্টকে নজরবন্দি করে দিচ্ছে। নজরবন্দি অবৈধ, অপরাধ। এবার করলে কেষ্ট আদালতে যাবে এবং নিরাপত্তা নেবে। নজরবন্দি এভাবে করে রাখা যায় না। আর তোমরা নিজেরা কি করে বেড়াচ্ছ? একজন জুনিয়ার অফিসার সিনিয়র অফিসারদের শো-কজ করছে। কৈফিয়ত চাইছে।”

ভোটারদের (West Bengal Election 2021) উদ্দেশে তিনি বলেন, “ভোটটা কিন্তু দেবেন। ভোট না দিলে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দিলে আগামী দিনে NRC-তে অনেক সমস্যার সম্মুখিন হতে হবে। তবে আমি NRC করতে দেব না।”

কর্মীদের উদ্দেশে মমতা বলেন, “ভোট শুরুর আগে মেশিন দুবার অফ অন করে নেবেন। তা না হলে অমিত শা বিজেপির ভোট ভরে রাখবে। মেশিন খারাপ হলে নতুন মেশিন না আসা পর্যন্ত ভোটারদের অপেক্ষা করতে বলবেন।”

শীতলকুচি প্রসঙ্গে মমতা বলেন, “বিজেপিতে আমদের কিছু লোকজন রয়েছে। তারা আমাকে বিজেপির গোপন তথ্য সরবরাহ করে। কমিশনের সোশ্যাল মিডিয়ার চ্যাট আমার কাছে চলে এসেছে। আমার কাছে সব তথ্য রয়েছে। কোন পুলিশ অফিসার সাধারণ মানুষের উপর হঠাৎ করে পিছন থেকে গুলি করেছে, কার নির্দেশে করেছে। সব আমি দেখব। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আছে আমার কাছে। আমিও CID দিয়ে তদন্ত করব ভোট শেষ হলে। নির্বাচন কমিশনের কথা আর চলেবে না।”

মমতা অভিযোগ করে বলেন, “নির্বাচন কমিশন (Election Commission) পক্ষপাতিত্ব করে ২৯৪ টি আসনের মধ্য ৭-৮ টি আসন BJP-র জন্য করতে পারবে। বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে ৭০-৮০ সিট পাবে। আর দুটো বাম-কংগ্রেস ২০-২৫ টি পাবে। এবার করোনার পরিস্থিতির সঙ্গে নির্বাচন কমিশন বিরুদ্ধে লড়তে হবে আমদেরকে।”

এদিন বোলপুরের সভা সেরে তারাপীঠে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে মা তারার পুজো দেন। হুইল চেয়ারে বসেই মন্দির চত্বরে ঢোকেন মুখ্যমন্ত্রী। দক্ষিণা দেন পুরোহিতদের। এরপরেই হেলিকপ্টারে করে উড়ে যান তিনি।

Share it