Mainuddin sams
Share it

দল ও নলহাটির মানুষের প্রতি একরাশ অভিমান নিয়ে চলে গেলেন বীরভূমের নলহাটি বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়ক মইনুদ্দিন সামস। রবিবার গভীর রাতে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর পর সোশ্যাল মিডিয়ায় শোক প্রকাশ করেছেন তৃণমূল নেতারা।

প্রয়াত কলিমুদ্দিন শামসের বড় ছেলে ছিলেন মইনুদ্দিন শামস। বাবা কলিমুদ্দিন শামস কলকাতার কবিতীর্থ বিধানসভা থেকে ফরওয়ার্ড ব্লকের টিকিটে তিনবারের বিধায়ক ছিলেন। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ফরওয়ার্ড ব্লকের টিকিটে নলহাটির বিধায়ক ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন খাদ্যমন্ত্রী ছিলেন রাজ্যের। বাবার মৃত্যুর পর তৃণমূলে যোগদান করেন মইনুদ্দিন শামস।

২০১৬ সালে নলহাটি বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের প্রতীকে নির্বাচিত হন। জয়ী হয়ে তিনি এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাননি। বাবার তৈরি করা নলহাটি পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাড়িতে সস্ত্রীক থাকতে শুরু করেন পেশায় আইনজীবী মইনুদ্দিন শামস। কিন্তু এবার বিধানসভা নির্বাচনে দল তাঁকে টিকিট দেয়নি। ফলে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। দলের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন। জেদের বশে দাঁড়িয়েছিলেন নির্দল প্রতীকে। তবে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে পারেননি।

২ মে গণনা শেষ হতেই তিনি নলহাটির বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে কলকাতা চলে যান। সেই দিন থেকেই তাঁর শরীরে করোনার উপসর্গ ছিল বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। ৫ মে কলকাতায় তার করোনা ধরা পড়ে। প্রথম দিকে তিনি খিদিরপুরে নিজের নার্সিংহোমে ভর্তি ছিলেন। সুস্থ হয়ে দিন চারেক আগে বাড়ি ফেরেন। একদিন পর ফের তিনি অসুস্থ পড়েন। তাঁকে ভর্তি করা হয় কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে। রবিবার সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।

পরিবারের দাবি, টিকিট না পেয়ে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। জেদের বশে নির্দল হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। ভোটে শোচনীয় পরাজয়ের পর তিনি আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। মনোবল ভেঙে যাওয়ার জন্য তিনি মারা গেলেন। ভোট না পাওয়ায় নলহাটির মানুষের প্রতি তাঁর অভিমান হয়েছিল।

Share it