নিউজ ওয়েভ ইন্ডিয়া: ইপিএস ৯৫ পেনশনাররা দীর্ঘদিন ধরে খুবই সামান্য পেনশন পাচ্ছেন বলে অভিযোগ। পেনশনারদের অভিযোগ, দীর্ঘ ৩০-৩৫ বছর পেনশন ফান্ডে কন্ট্রিবিউশন করার পরেও ইপিএফও খুবই সামান্য পেনশন দিচ্ছে। যা তাদের কন্ট্রিবিউশনের তুলনায় অনেক কম। ২০১৪ সালে কেন্দ্রীয় সরকার ন্যূনতম পেনশন হাজার টাকা করা হবে বলে ঘোষণা করলেও ইপিএফও নানা কারণ দেখিয়ে ৩০ লক্ষেরও বেশি পেনশনভোগীদের সেই ন্যূনতম পেনশন হাজার টাকা থেকেও অনেক কম পেনশন দিচ্ছে।
এই অবস্থায় দেশজুড়ে আন্দোলনে নেমেছে ন্যাশনাল অ্যাজিটেশন কমিটি বা NAC। এই কমিটির পশ্চিমবঙ্গ শাখার সদস্যরাও আন্দোলনের নেমেছেন এ রাজ্যে। মঙ্গলবার বউবাজারে ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সামনে একদিনের প্রতীকী সত্যাগ্রহ পালন করলেন আন্দোলনকারীরা। এইসব আন্দোলনকারীদের সকলেরই বয়স ষাটের উপরে। কেউ কেউ ৭০-৭৫ বছরও পেরিয়েছেন। সকলেরই দাবি, এই পরিস্থিতিতে পেনশনের সামান্য টাকায় তাঁদের পরিবারের জীবন ধারণ প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে। NAC-এর সভাপতি তপন দত্তর দাবি, অবিলম্বে ন্যূনতম পেনশন ৭৫০০ টাকা করতে হবে এবং সঙ্গে ডিএ দিতে হবে। সেই সঙ্গে পেনশনার স্বামী-স্ত্রী উভয়কেই বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধা দিতে হবে বলে দাবি তাঁর।
NAC-এর সম্পাদক অমিয় কুমার দাস হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন, কেন্দ্র তাদের দাবি না মানলে অদূর ভবিষ্যতে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনের নামবেন।
National Agitation Committee-এর অন্যান্য সদস্যদের গলাতেও শোনা গেল একই সুর।
মঙ্গলবার বিকেলে শহর কলকাতায় মুষলধারে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে এই সত্যাগ্রহ আন্দোলনে উপস্থিত ছিলেন কয়েকশো পেনশনভোগী আন্দোলনকারী। ২০ শে জুলাই থেকে ১১ই আগস্ট লোকসভার বর্ষাকালীন অধিবেশন চলবে। অন্দোলনকারীদের দাবি, এই অধিবেশনেই তাদের ন্যায্য দাবি প্রদানে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। না হলে আগামীদিনে লাগাতার আন্দোলন করতে গিয়ে কারও মৃত্যু হলে তার দায় সরকারকেই নিতে হবে।