নিউজ ওয়েভ ইন্ডিয়া: পশ্চিমবঙ্গে ভোট হবে সপ্তম দফাতেই। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি বিহার এবং উত্তরপ্রদেশেও সাত দফায় ভোট হবে। গত লোকসভা নির্বাচনেও পশ্চিমবঙ্গে সাত দফাতেই ভোট হয়েছিল।
প্রথম দফায় কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে ভোট। দেশে লোকসভা ভোট শুরু হবে ১৯ এপ্রিল। ৪ জুন হবে ভোট গণনা। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানান, ১৯ এপ্রিল প্রথম দফায় ২১ রাজ্যে ভোট হবে। দ্বিতীয় দফার ভোট হবে ২৬ এপ্রিল। তৃতীয় দফার ভোট হবে ৭ মে। চতুর্থ দফার ভোট হবে ১৩ মে। পঞ্চম দফার ভোট হবে ২০ মে। ষষ্ঠ দফার ভোট হবে ২৫ মে। সপ্তম দফার ভোট হবে ১ জুন। ৪ জুন ভোটগণনা।
শনিবার বিকেলে ৩টেয় নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করতে বসেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার । তাঁর ডান দিকে বসেন জ্ঞানেশ কুমার। বাঁ দিকে সুখবীর সিংহ সান্ধু। রাজীব কুমার জানান, বিহার, গুজরাত, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, কর্নাটক, তামিলনাড়ুতে উপনির্বাচন হবে। লোকসভার সঙ্গেই সেই উপনির্বাচন হবে। সিকিম, ওড়িশা, অরুণাচল প্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ— চার রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হবে লোকসভার সঙ্গে।
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন, “আমাদের দায়িত্ব সঠিক ভাবে নির্বাচন পরিচালনা করা। ১৬ জুন ১৭তম লোকসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এবার আমাদের ৯৭ কোটি ভোটার রয়েছে। ১০.৫ লক্ষ ভোট কেন্দ্র রয়েছে। ৫৫ লক্ষ ইভিএম থাকছে।” সবাইকেকে ভোট দিতে আসার আবেদন জানান মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। তিনি জানান, লোকসভা ভোটের জন্য নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। ‘নো ইওর ক্যান্ডিডেট’ নামে নতুন অ্যাপ চালু করা হচ্ছে, যেখানে প্রার্থীদের বিষয়ে বিশদে জানা যাবে।
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার এও জানান, এ বার মোট ভোটারের সংখ্যা ৯৬.৮ কোটি। যার মধ্যে ৪৯.৭ কোটি পুরুষ এবং ৪৭.১ কোটি মহিলা। ১.৮২ কোটি নতুন ভোটার রয়েছে। তিনি বলেন, “পুরুষ এবং মহিলা ভোটারদের অনুপাত ভাল হয়েছে। দেশের ১২টি রাজ্যে মহিলা ভোটারদের সংখ্যা বেশি।” আরও জানান, নতুন ভোটারদের মধ্যে ৮৫ লক্ষের বেশি মহিলা। ৮২ লক্ষ এমন ভোটার রয়েছেন, যাঁদের বয়স ৮৫ বছরের বেশি। প্রত্যেক বুথ কেন্দ্রে প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা থাকবে। পুরুষ এবং মহিলাদের আলাদা আলাদা শৌচালয় থাকবে। প্রবীণ এবং বিশেষ ভাবে সক্ষম যাঁরা ভোট দিতে আসতে পারবেন না, তাঁদের ভোট বাড়ি গিয়ে নিয়ে আসা হবে।