Share it

নিউজ ওয়েভ ইন্ডিয়া: গার্ডেনরিচ এলাকার হাজারি মোল্লা বাগান এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে রবিবার রাত ১২টা নাগাদ। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকজনের। আহত বহু। মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। পুলিশ প্রশাসন সূত্রের খবর উদ্ধারকাজ এখনও চলছে। সাতসকালে ঘটনাস্থলে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কপালে চোট পাওয়ার পর এই প্রথম তিনি প্রকাশ্যে এলেন। ঘটনাস্থল থেকে তিনি হাসপাতালে যান আহতদের দেখতে। রাজ্য সরকারের তরফে মৃতদের পরিবার ও আহতদের অনুদানের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। রবিবার দুর্ঘটনার পরেই সেখানে যান দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। পরে একে একে যান মেয়র ফিরহাদ হাকিম, সাংসদ মালা রায় ও অন্যান্যরা।

দুর্ঘটনার পর প্রথম দিকে স্থানীয়রা প্রাথমিকভাবে উদ্ধার কাজ শুরু করে। সেইকাজ ধীরগতিতে চললেও অল্প সময়ের মধ্যেই দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনিত গোয়েন। তারপরেই বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী আসে এবং দ্রুত উদ্ধারকাজ শুরু হয়।

স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, যেহেতু বাড়িটি নির্মাণের কাজ চলছিল। সেই কারণে বাড়িটির ভেতরে কোন ব্যক্তি বা পরিবার বসবাস করছিল না। তবে বহুতল বাড়িটি যেহেতু পাশের ঝুপড়িতে ভেঙে পড়ে সেই কারণেই ঝুপড়িতে বসবাসকারী বহু মানুষ হতাহত হন। এছাড়াও দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর রাস্তা বেশ সংকীর্ণ হওয়ায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং দমকলের রাতের অন্ধকারে সেখানে পৌঁছতে বেশ কিছুটা সময়ও লেগে যায়। ভোরের আলো ফুটতেই উদ্ধারের কাছে আরও গতি আসে।

ঘটনাস্থলে ভোররাতেই দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, মৃতদের নাম সামা বেগম (৪৭) এবং হাসিনা খাতুন (৫৫)। পরে হাসপাতালে আরও বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়। গ্রেফতার করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রোমোটারকে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বাড়িটি অবৈধভাবে নির্মাণ করা হচ্ছিল। এই ঘটনায় জড়িত দোষীদের কাউকেই রেয়াত করা হবে না।

Share it