বুধবার নন্দন-৩ প্রেক্ষাগৃহে ১৫ জুন 'বিশ্ব প্রবীণ নিগ্রহ সচেতনা দিবস' উপলক্ষে হেল্প এজ ইন্ডিয়ার উদ্যোগে আয়োজিত একটি সভায় Bridge the Gap: Understanding Elder Needs’ বই প্রকাশ করা হয়
Share it

নিউজ ওয়েভ ইন্ডিয়া: বর্তমান সমাজে দিনদিন বেড়ে চলেছে প্রবীণ সদস্যদের উপর অত্যাচার। তথ্য বলছে, দেশের ৫৯ শতাংশ প্রবীণই গার্হস্থ্য নির্যাতনের শিকার। এদের মধ্যে ১০ শতাংশ বড় ধরনের নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। আর এই নির্যাতনের তিনটি ক্ষেত্রেই অপরাধী পুত্র, পুত্রবধূ এবং আত্মীয়। তথ্যে দাবি, প্রবীণ নাগরিকরা আত্মীয়দের দ্বারা ৩৬ শতাংশ, পুত্রদের দ্বারা ৩৫ শতাংশ এবং পুত্রবধূর দ্বারা ২১ শতাংশ ক্ষেত্রে নির্যাতিত হচ্ছেন।

বুধবার নন্দন-৩ প্রেক্ষাগৃহে ১৫ জুন ‘বিশ্ব প্রবীণ নিগ্রহ সচেতনা দিবস’ উপলক্ষে হেল্প এজ ইন্ডিয়ার উদ্যোগে আয়োজিত একটি সভায় Bridge the Gap: Understanding Elder Needs’ বই প্রকাশ করা হয়। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণ এবং সমাজকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা, হেল্প এজ ইন্ডিয়ার সিইও রোহিত প্রসাদ, হেল্প এজ ইন্ডিয়া-র পশ্চিমবঙ্গের ডিরেক্টর – অ্যাডভোকেসি, অনুরাধা সেন এবং অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিরা। মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, আরও বেশি করে প্রবীণ মানুষদের Maintenance and Welfare of Parents and Senior Citizens Act, 2007 সম্পর্কে সচেতন করে তুলবে হবে।

হেল্পএজ ইন্ডিয়ার সিইও রোহিত প্রসাদ বলেন, “মহামারীর পরে, স্বাস্থ্য, আয়, কর্মসংস্থান এবং সামাজিক ও ডিজিটাল লেনদেন সমাজে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রবীণদের সম্মানজনক জীবনযাপনের জন্য এগুলির সামাজিক এবং নৈতিক– উভয় স্তরেই সমাধান করা প্রয়োজন।” হেল্প এজ ইন্ডিয়া-র পশ্চিমবঙ্গের ডিরেক্টর – অ্যাডভোকেসি, অনুরাধা সেন বলেন, “ব্রিজ দ্যা গ্যাপ বইটি প্রবীণদের আকাঙ্খাগুলিকে প্রকাশ করেছে। প্রবীণরাও অবসর গ্রহণের পরে আত্মনির্ভরশীল হতে চান।”

রাষ্ট্রসংঘ স্বীকৃত এই বইটিতে আরও বলা হয়েছে, কলকাতায়, ৭৫% প্রবীণ মনে করেন, সমাজে দুর্ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে। এরমধ্যে ১২%ই নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। প্রবীণরা তাদের নির্যাতনের ক্ষেত্রে তাদের ছেলেদের ২৯ শতাংশ ক্ষেত্রে এবং পুত্রবধূদের ৮ শতাংশ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অপরাধী হিসেবে দায়ী করেছেন।

Share it