Cyclone Yaas
Share it

ওড়িশার বালেশ্বরের দক্ষিণে স্থলভাগে ঘণ্টায় ১৫৫ কিলোমিটার গতিবেগে আছড়ে পড়ল শক্তিশালী ঘূর্ণীঝড় ‘যশ’। বুধবার সকাল ৯টা ১৫ মিনিটের বুলেটিনে একথা জানিয়েছে মৌসম ভবন। তবে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৩০ থেকে ১৪০ কিলোমিটার ছিল গড়ে। সর্বোচ্চ ছিল ঘণ্টায় ১৫৫ কিলোমিটার।


শেষ ৬ ঘণ্টায় ১৭ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে এগিয়েছে ‘যশ’। জানিয়েছে মৌসম ভবন। বুধবার দুপুরের মধ্যে ওড়িশার পারাদ্বীপ ও পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপের মধ্যে বালেশ্বরের দক্ষিণ ও ধামরার উত্তর দিক দিয়ে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় রূপে ‘যশ’ অতিক্রম করে যাবে বলেই পূর্বাভাস দিয়েছে জাতীয় আবহাওয়া অফিস। তার পর ঘূর্ণিঝড় চলে যাবে ঝাড়খণ্ডের দিকে।


এদিকে বুধবার সকালে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “উপকূলবর্তী এলাকায় গ্রামগুলিতে জল ঢুকছে। পূর্ব মেদিনীপুরে ৫১টি নদীবাঁধ ভেঙেছে। গোসাবার গ্রামগুলি প্লাবিত। ২০ হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দিঘা, শংকরপুর এলাকা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নন্দীগ্রামে গ্রামের পর গ্রাম ডুবে গিয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরে ৩.৮ লাখ মানুষকে নিরাপদে সরানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে বিদ্যুৎ ও জল পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে।” উপকূল এলাকার বাসিন্দাদের প্রতি তাঁর সতর্কবার্তা, “যত ক্ষণ না প্রশাসন অনুমতি দিচ্ছে, ত্রাণ কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করবেন না”।

Share it