Share it

রুনা খামারু: নতুন বছরে প্রকাশিত হল ড. কবিতা মুখোপাধ্যায়ের লেখা ‘মহারাজা বিজয়চন্দ্ এবং জনপদ বর্ধমান’ নামে একটি বই। পয়লা বৈশাখ বিকেল ৪টে নাগাদ বর্ধমানের রমজান আকাদেমিতে বইটি প্রকাশিত হয়। প্রকাশ করেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক শিবেন মুখোপাধ্যায়। বার্ণিক প্রকাশন থেকে বইটি প্রকাশিত হয়েছে।

নতুন এই বই সম্পর্কে লেখিকা কবিতা মুখোপাধ্যায় বলেন, “অনেক আগে থেকেই বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় আমার লেখা প্রকাশিত হয়েছে। প্রথম আজকাল পত্রিকায় একটা প্রবদ্ধ প্রকাশিত হয়েছিল। নাম – ‘মহারাজ বিজয়চাঁদ মহাতাবের পুস্তক সংগ্রহ’। তারপর থেকে বর্ধমানের মহারাজ পরিবার ও রাজা বিজয়চাঁদ নিয়ে আমার কৌতুহল বাড়তে থাকে। মহারাজ বিজয়চাঁদের অনেক বই আছে, দেখেওছি সেগুলো। সাহিত্য রচনা করতেন তিনি। সেগুলো নিয়ে আমি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় যেমন -আনন্দবাজারের বর্ধমান পৃষ্ঠায় আমার অনেক লেখা প্রকাশিত হয়েছে। সেই লেখাগুলো আর একটু সংশোধন করে নিয়ে এক জায়গায় বই আকারে প্রকাশ করা হল।”

লেখিকা আরও বলেন, “বর্ধমানের বেশ কিছু জায়গা বিভিন্ন কারণে প্রসিদ্ধ, সেইসব জায়গাও ঘুরে দেখেছি। যেমন – কাটোয়া, মহাভারতের বাংলা যিনি করেছিলেন সেই কাশীরাম দাসের জন্মভিটে সেখানে। সেই জায়গা ঘুরে দেখে লিখেছি। এই ধরনের লেখা সংগ্রহ করে বইটা দুটি ভাগে প্রকাশ করা হয়েছে। প্রথম ভাগ ‘জনপদ বর্ধমান’ যেখানে বর্ধমানের বিভিন্ন প্রান্তের বেড়ানোর জায়গাগুলো নিয়ে লেখা আছে। আর দ্বিতীয় ভাগে মহারাজ বিজয়চাঁদ মহাতাব ও রাজ পরিবার সম্পর্কে। রাজ পরিবারের বিভিন্ন কাহিনির উল্লেখ আছে এই বইয়ে। যেমন – বিজয়চাঁদের রানি সংসারে বীতশ্রদ্ধ হয়ে একসময় সংসার ত্যাগ করে সন্ন্যাস নিয়ে চলে যান। এই ধরনের ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে লিখেছিলাম। সেগুলো এখন বই আকারে প্রকাশ করা হল। যাতে তথ্যগুলো হারিয়ে না যায়। ভবিষ্যতে গবেষণার প্রয়োজনে তথ্য ও তথ্যসূত্র ধরে রাখতেই বই আকারে লেখাগুলি সংকলন করা হল।”

এই বই প্রসঙ্গে বিশিষ্ট সাংবাদিক শ্যামল মুখোপাধ্যায় বলেন, “ড. কবিতা মুখোপাধ্যায় একজন গবেষক এবং তাঁর লেখা বই ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়। সেই বই অনেকের গবেষণার কাজেও লেগেছে। এবারের বর্ধমান বইমেলাতেও দেখলাম ড. কবিতা মুখোপাধ্যায়ের বইয়ের বেশ চাহিদা আছে। সাংবাদিকতার ব্যাপারে লেখা খুব কঠিন বিষয়। সেটাই উনি খুব ভালো লিখেছেন। কবিতা শুধু আজকে নয় ওনার বেশ কয়েকটি বই আছে। আর অবিভক্ত বর্ধমান জেলার প্রথম মহিলা সাংবাদিক হলেন কবিতা মুখোপাধ্যায়। সব লেখাই খুব পরিশ্রম করে লেখেন। এর আগে শিবেন মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গেও কবিতা মুখোপাধ্যায়ের বই প্রকাশিত হয়েছে। কলকাতা প্রেস ক্লাবে কয়েক বছর আগে বইটির উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন মন্ত্রী রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। সেই বইটিও বিভিন্ন মহলে সমাদৃত হয়েছে। নতুন এই বইটিও তিনি খুব পরিশ্রম করে লিখেছেন, তাই এক্ষেত্রেও আমি ওনার দারুণ সাফল্য কামনা করি। আমার মনে হয় পাঠকদের কাছে এই বইটিও সমাদৃত হবে। আমি চাই বইটি পাঠকরা পড়ুন, তাঁরা অনেক কিছু জানতে পারবেন।”

Share it