Share it

প্রার্থী পদ নিয়ে অসন্তোষের জেরে দল ছাড়লেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সহ সভাপতি আলি খান। শনিবার বিকেলে নিজের অনুগামীদের সঙ্গে আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ২৮০ ভোট তৃণমূলের আব্দুর রহমানের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন আলি খান। ভোটের পরেই তিনি যোগদান করেন তৃণমূলে। এবারও তৃণমূলের টিকিটের দাবি করে জেলা নেতৃত্বের কাছে আবেদন করেছিলেন আলি খান। কিন্তু দল ফের আব্দুর রহমানকেই প্রার্থী হিসাবে নাম ঘোষণা করে। প্রার্থী হিসাবে নাম ঘোষণার কয়েকদিন পর করোনা আক্রান্ত হন আব্দুর রহমান। এরপর প্রার্থী পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল।

আলি খান বলেন, “ভেবেছিলাম নতুন প্রার্থী তালিকায় আমার নাম থাকবে। পরে দেখা গেল চিকিৎসক শিশু বিশেষজ্ঞ মোশারফ হোসেনকে প্রার্থী করা হয়েছে। এতেই আমাদের কর্মী সমর্থকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। সকলের মতামত নিয়ে নির্দল হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামী ৭ এপ্রিল মনোনয়ন জমা দেব।”

এদিন আলি খানের রাজগ্রামের অফিসে কর্মী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সিপিআইএমের শামসুল কামলিন, কংগ্রেসের মুরারই ২ ব্লক সহ সভাপতি দেবপ্রকাস ধর, তৃণমূলের মহম্মদ আলিমুদ্দিন সহ অনেকে। আলি খানের দাবি এদিনের বৈঠকে ৪০ জন পঞ্চায়েত সদস্য, ১০ জন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ও কর্মাধ্যক্ষ উপস্থিত ছিলেন।”

Share it