মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
Share it

“অশুভ শক্তির বিনাশ হবে। শুভ শক্তির জয় হবে। ভাঙা পা নিয়েই আমি ঘুরে বেড়াব। হুইলচেয়ারে করেই গোটা বাংলা ঘুরব। আহত বাঘ আরও ভয়ঙ্কর। ভাঙা পায়ে খেলা হবে।” হাজরার জনসভা থেকে BJP-কে হুঙ্কার দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


তিনি বলেন, “জীবনে অনেক আঘাত পেয়েছি। অনেক লড়াই পেরিয়ে এসেছি। আপনারা সংযত থাকুন। আমার উপর ভরসা রাখুন।” চিকিৎসকরা তাঁকে ১৫ দিন বিশ্রামের কথা বললেও তিনি মনে করেন নির্বাচনের সময় এক একদিন এক এক সেকেন্ড খুব গুরুত্বপূর্ণ। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এই সময় বিশ্রাম নিলে চলবে না। মানুষের কাছে যেতে হবে। শরীরের থেকে মনের যন্ত্রণা বড়। গণতন্ত্রের যন্ত্রণা আরও অনেক বড়। স্বৈরাচারীদের হাত থেকে গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হবে।”

তৃণমূল নেত্রী বলেছিলেন, হুইল চেয়ারে বসেই রবিবার থেকে প্রচার শুরু করবেন তিনি। সেইমতো ১৪ মার্চ নন্দীগ্রাম দিবসেই রাজনৈতিক প্রচারে নেমে পড়েন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। ররিবার মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির পাদদেশ থেকে হাজরা পর্যন্ত মিছিল করে তৃণমূল। সেই মিছিলে হুইল চেয়ারে বসেই নেতৃত্ব দেন তৃণমূল নেত্রী। মেয়ো রোড থেকে মিছিল শুরু হয়ে প্রায় ৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে হাজরায় আসে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্লাস্টার করা পায়ে ছিল বিশেষ জুতো। এদিন মিছিল ঘিরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল আগাগোড়া। বেশ কয়েকটি জায়গায় গার্ডরেল দিয়ে আটকেও দেওয়া হয়।

মিছিলে ছিলেন কলকাতার প্রায় সমস্ত তৃণমূল প্রার্থী ও দলীয় নেতাই। ছিলেন ববি হাকিম, সুব্রত বক্সি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা এদিন আঘাতের বিষয়ে কিছু না বললেও তৃণমূল যুব সভাপতির অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীকে ধাক্কা দিয়েই ফেলে দেওয়া হয়েছে। ভাঙা পায়েই খেলা হবে, জেতা হবে। তৃতীয়বারের জন্য নবান্ন দখল হবে।”

Share it