নিউজ ওয়েভ ইন্ডিয়া: আলিপুর চিড়িয়াখানায় তিন নতুন অতিথির আগমন। এগুলির মধ্যে জোড়া রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। অপরটি মালয়ান টাপির। শিলিগুড়ি থেকে এই পশুগুলিকে আলিপুরে আনা হয়েছে। রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারগুলির বয়স ৩ বছরের কাছাকাছি। এই তিনটি পশুকে আলিপুর চিড়িয়াখানায় খাঁচায় ছাড়ায় এক্সক্লুসিভ ছবি একমাত্র নিউজ ওয়েভ ইন্ডিয়াই পেয়েছে।
বিশেষভাবে ডিজাইন করা বন্যপ্রাণীদের জন্য তিনটি আধুনিক অ্যাম্বুলেন্সে করে সোমববার বিকেলে তাদের আলিপুর চিড়িয়াখানায় নিয়ে আসা হয়। চিড়িয়াখানার অধিকর্তা শ্রী শুভঙ্কর সেনগুপ্ত বলেন, “ওই গাড়ির সঙ্গে পশু চিকিৎসক, জীববিজ্ঞানী, ইঞ্জিনিয়ার, অ্যানিম্যাল সুপারভাইজার ও অ্যানিম্যাল অ্যাটেনডেন্টের একটি বিশেষ টিম ছিল। সেইসঙ্গে কোনওরকম অঘটন এড়াতে বন্যপ্রাণী বহনকারী ওই গাড়িগুলিকে এসকর্ট করে নিয়ে আসার জন্য বন, সাধারণ এবং পুলিশ প্রশাসন সবরকম সহযোগিতা করেছে।” তিনি এও জানান, বার্কিং ডিয়ার, পাইথন ও ওয়াটার মনিটর লিজ়ার্ড এই তিন বন্যপ্রাণীর বিনিময়ে নর্থ বেঙ্গল ওয়াইল্ড অ্যানিম্যাল পার্ক থেকে বাঘ দুটি আনা হয়েছে।
সবচেয়ে বেশি চমক ছিল মালয়ান টাপির। ময়নাগুড়ি থেকে বনকর্মীরা উদ্ধার করেছিলেন এটিকে। একটি মামলা চলছিল একে নিয়ে। ২২ ফেব্রুয়ারি জলপাইগুড়ি আদালত এক রায়ে আলিপুর চিড়িয়াখানায় প্রাণীটিকে রাখার আনুমতি দেয়। তৃণভোজী নিরীহ এই প্রাণীটি দেখতে অনেকটা শুকরের মতো। তবে নাকটা অনেকটাই লম্বা। অনেকটা অর্ধেক হাতির শুঁড়ের মতো। অধিকর্তা শ্রী শুভঙ্কর সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, আলিপুর চিড়িয়াখানায় একেবারের শুরুর দিকে এই প্রাণীটি রাখা ছিল। সেটা ১৮৭৭ সাল। ১৮৮০ সাল পর্যন্ত রাখা ছিল এটি।
স্বাভাবিকভাবেই এবারের গ্রীষ্মে চিড়িয়াখানার দর্শকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণ হতে চলেছে টাপির, তা নিঃসন্দেহে বলে দেওয়া যায়।