Bag Bazar Pujo
Share it

সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য (পুরোহিতরত্ন): শারোৎসবের বাকি আর মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরেই দেবী দুর্গার আরাধনায় মাতবে বাংলা সহ বিশ্বের সমস্ত বাঙালি। কিন্তু এই দেবী দুর্গার অর্থ আমরা অনেকেই ঠিক মতো জানি না। আসুন জেনে নেওয়া যাক ‘দুর্গা’ শব্দের আসল অর্থ এবং কোথা থেকে তার উৎপত্তি।

বৃহন্নন্দিকেশ্বর পুরাণের ৫৭ অধ্যায়ে সাত-আটটি শ্লোকে দুর্গা শব্দের অর্থ লেখা আছে। যে দুর্গ হল দৈত্য, মহাবিঘ্ন সংসার বন্ধন কর কর্ম, শোক, দুঃখ, নরক যন্ত্রণা, মহাভয়, অতিরোগ। ‘আ’ শব্দটি হল হন্ত বাচক। সুতরাং যিনি এই সমস্ত দুর্গকে নাশ করেন তিনি দুর্গা নামে প্রসিদ্ধ।

এছাড়াও আমরা শ্রী শ্রী চণ্ডীর একাদশ অধ্যায়ে ৪৯ ও ৫০ নম্বর শ্লোকে পাই, ‘শাকম্ভ রীতি বিখ্যাতিং তদা যাম্য়াম্যহংভুবি। তত্রৈব বধিষ্যামি দুর্গামাখ্যাং মহাসুরম। দুর্গা দেবাতি বিখ্যাতং জন্ম নাম, ভবিষ্যতি।’

বৃহন্নন্দিকেশ্বর পুরাণের ২৯ নম্বর শ্লোকে আরও বলা আছে যে, পরমাত্মা কৃষ্ণ সৃষ্টির প্রারম্ভে গোলকধামে অন্তরগত বৃন্দাবনস্থিত রামমণ্ডলে এই দুর্গা দেবীকে প্রথম পুজা করেন। দ্বিতীয়বার ব্রহ্মা মধু ও কৈটভ এই দুই অসুরের হাতে ধরা পড়ার পর দেবী দুর্গাকে পুজো করেন। স্বয়ং ত্রিপুরারি মহাদেব ত্রিপুরাসুরকে দগ্ধ করার জন্য দেবী দুর্গার আরাধনা করেছেন তৃতীয়বার। অপরদিকে মহর্ষি দুর্বাশার অভিসাপে ইন্দ্র শ্রীভাট হয়ে চতুর্থবার দুর্গাকে পুজো করেছিলেন।

Share it