নিউজ ওয়েভ ইন্ডিয়া: খাবারের মেনুতে দামের তালিকার পাশাপাশি উল্লেখ রয়েছে পুষ্টিগুন। অর্থাৎ মনে করুন, আপনি কাবাব বা বিরিয়ানি অর্ডার করছেন, সেখানে সেই খাবারের কতটা পুষ্টিগুন রয়েছে, তা জানতে পারবেন আপনি। শুধু তাই নয়, আপনি খাবারের জন্য যে দাম দিচ্ছেন, তা চলে যাবে সুন্দরবনে বাঘের হানায় মৃত ব্যক্তির পরিবারের কাছে। এমনই অভিনব এবং মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে এবার পুজোয় ভোজনরসিকদের আহ্বান জানাচ্ছে একলেসিয়াসটেস কাফে (Ecclesiastes Cafe)।
রাজডাঙায় অ্যাক্রোপলিস মলের বিপরীতে কসবা নিউ মার্কেটের কাছে এই ক্যাফেটেরিয়াতে রয়েছে দিলখুশ করা সব রকমারি মেনু। কিন্তু, মেনুকার্ডের প্রতিটি আইটেমের সঙ্গে উল্লেখ রয়েছে নিউট্রেশনাল ভ্যালু। শুধু তাই নয়, প্রয়োজনে এখানকার ডায়েটেশিয়ানরাও আপনাকে পরামর্শ দেবে। ক্যাফেটেরিয়ার কর্ণধার ডাঃ পূর্ণেন্দু রায় ও ডিরেক্টর অলিভিয়া ডানলপের যৌথ উদ্যোগে গত প্রায় একবছর ধরে ভোজনরসিকদের রসনাতৃপ্ত করছে একলেসিয়াসটেস কাফে। নিজে একজন স্বনামধন্য চিকিৎসক ডাঃ পূর্ণেন্দু রায়। সেই কারণেই কি খাদ্যতালিকায় পুষ্টিগুন উল্লেখ করার ভাবনা এসেছে মাথায়, এ বিষয়ে তিনি বললেন…
জীবিকার সন্ধানে সুন্দরবনে মধু বা কাঁকড়া সংগ্রহে গিয়ে বাঘের হানায় প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। এতে সবথেকে বিপদে পড়েছেন সেইসব পরিবারগুলি। তাই দুঃস্থ পরিবারগুলির পাশে দাঁড়াতে একলেসিয়াসটেস কাফে থেকে আয়ের একটা বড় অংশ দান করার উদ্যোগ নিয়েছেন ডাঃ পূর্ণেন্দু রায় ও অলিভিয়া ডানলপ। কেন তাঁরা এই ধরনের পরিকল্পনা নিয়েছেন, তার কারণ জানালেন আমাদের।
মঙ্গলবার এই কাফেতেই হাজির হয়েছিলেন সুন্দরবনের ওইসব দুঃস্থ পরিবারের সদস্যরা। ইতিমধ্যেই মঞ্জরী মণ্ডল, শান্তিবালা নস্কর ও মমতা বিশ্বাসদের যথেষ্ট আস্থা, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা অর্জন করেছেন চিকিৎসক পূর্ণেন্দু রায় ও অলিভিয়া ডানলপ সহ গোটা টিম। আগামীদিনে ডাক্তারবাবুদের হাত ধরেই গ্রামগুলিতে আরও উন্নত পরিকাঠামো ও পরিষেবা প্রবেশ করবে বলে তাঁরা আশা করছেন।
এই ক্যাফেতে প্রায় শুরু থেকেই প্রধান শেফ হিসেবে যুক্ত রয়েছেন মি. ক্রিশ্চিয়ান। তিনি জানালেন এখানে কোনও খাবারের আইটেম তৈরির সময় ডায়েটেশিয়ানের পরামর্শ মেনে চলা হয়।
তাহলে আর দেরি কিসের। পুজোয় ভুরিভোজের কারণে ক্যালোরি বেড়ে যাওয়ার চিন্তা সম্পূর্ণ মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। আর নিশ্চিন্ত মনে একলেসিয়াসটেস কাফেতে ঢুকে রসনাতৃপ্তিতে মন দিন।