নিউজ ওয়েভ ইন্ডিয়া: পূর্ব ভারতে প্রথম ব্রঙ্কিয়াল থার্মোপ্লাস্টি চিকিৎসা চালু হল কলকাতার অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালে। গুরুতর হাঁপানির ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকরী চিকিৎসা ব্রঙ্কিয়াল থার্মোপ্লাস্টি। মঙ্গলবার হাসপাতালে একটি সাংবাদিক বৈঠকে এই চিকিৎসার সফল প্রয়োগের কথা জানালেন চিকিৎসকরা।
যন্ত্রণাহীন পদ্ধতি এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে একটি ক্যাথেটার ব্যবহার করা হয়। সেটি উইন্ডপাইপের মাধ্যমে ঢুকিয়ে তাপ দেওয়া হয়। এই তাপ ফুসফুসের স্মুথ মাসলগুলিকে টার্গেট করে, যাতে সেই পেশীগুলি সঙ্কুচিত হয় এবং হাঁপানির উপসর্গগুলি আর বাড়াবাড়ির পর্যায়ে যেতে না পারে। এই পদ্ধতির জন্য সাধারণত তিন সপ্তাহের ব্যবধানে তিনটি সিটিং প্রয়োজন হয়। সোমবার, ১৪ মার্চ কলকাতার অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালে দু’জন রোগীর উপর ব্রঙ্কিয়াল থার্মোপ্লাস্টি করা হয়েছিল। পদ্ধতির পরে রোগীরা স্থিতিশীল।
কলকাতার অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতাল কনসালটেন্ট পালমোনোলজিস্ট ডাঃ দেবরাজ জশ বলেন, “ভারতে মোট জনসংখ্যার বিরাট অংশ গুরুতর হাঁপানিতে ভুগছে৷ ফলে ব্রঙ্কিয়াল থার্মোপ্লাস্টি নন-অ্যালার্জিক হাঁপানির ক্ষেত্রে একটি কার্যকর চিকিৎসা। পূর্ব ভারতে এই পদ্ধতি চালু করা সত্যিই একটি চ্যালেঞ্জ ছিল।”
কলকাতার অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালের কনসালটেন্ট পালমোনোলজিস্ট ডাঃ সুশীল আগরওয়াল বলেছেন, “ব্রঙ্কিয়াল থার্মোপ্লাস্টি আন্তর্জাতিক স্তরে গুরুতর হাঁপানি রোগীদের জন্য একটি বিশাল প্রাণদায়ী চিকিৎসা। আমরা আশা করছি এটি এখানেও সমান কার্যকরী হবে। ব্রঙ্কিয়াল থার্মোপ্লাস্টির পরে রোগীরা স্বস্তি পায় এবং নিয়মিত হাঁপানির আক্রমণ রোখা যায়। ফলে ধীরে ধীরে তাঁরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন।”
অ্যাপোলো হসপিটালস গ্রুপের সিইও-ইস্টার্ন রিজিয়ন, রানা দাশগুপ্ত বলেন, “কলকাতার অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতাল বরাবর নতুন প্রযুক্তি আনার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা নেয়৷ এই নতুন চিকিৎসা পদ্ধতির ক্ষেত্রেও আমরা অগ্রণী। আমাদের চিকিত্সকরা ভাল চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে অনেক হাঁপানি রোগীদের সমস্যার সমাধান হবে।”