সুদীপ্ত চক্রবর্তী: পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি সভাঘরে শনিবার বিকেলে আয়োজিত হল ‘সহজপাঠ’-এর প্রথম সাংস্কৃতিক আনুষ্ঠান। ‘সহজপাঠ’ বাচনিক অনুশীলন কেন্দ্রের সদস্যরা ছাড়াও আমন্ত্রিত শ্রুতি নাটকও পরিবেশিত হয়েছিল ওই সন্ধ্যায়। আবৃত্তি ও শ্রুতিনাটকের মাধুর্য সঠিকভাবে উপলব্ধি করা গেল শিল্পীদের আন্তরিক উপস্থাপনায়।
অনুষ্ঠানে ছোটোদের নাটক ‘দুটি পাখি’ উপস্থাপন করেন ঐশিক পাল ও দেবলীনা মণ্ডল। বিষয় বোধ ও স্বতস্ফূর্ততার মেলবন্ধন দেখা গেল শ্রুতি নাকটটির উপস্থাপনায়। এই দুই ক্ষুদে শিল্পীর পরিবেশনা মন জয় করে নেয় দর্শক স্রোতাদের। এছাড়াও মধুবনী চট্টোপাধ্যায় রচনায় ‘দৌপদী: স্বয়ম্ভূতার আত্মচরিত’ পরিবেশনাও ছিল যথেষ্ট শ্রুতিনন্দন। রৌনক চক্রবর্তী, শ্রীতমা ভট্টাচার্য, মিলি ত্রিপাঠী, অনিমা ত্রিপাঠী, দেবস্মিতা সেনগুপ্ত, যূথিকা অধিকারী ও দেবাঞ্জনা রায়ের সমবেত উচ্চারণ মন ছুঁয়ে যায়।
‘মগ্নবাক’-এর প্রযোজনায় অমিত চক্রবর্তী ও স্বাতী দাসের উপস্থাপনায় ‘দীক্ষা’ শ্রুতিনাটকটিরও রেশ থেকে যায় মনে। অয়ন্তিকা ঘোষের পরিচালনায় ও অভিনেয়-র প্রযোজনায় উপস্থাপিত হয় আরও একটি আমন্ত্রিত শ্রুতিনাটক ‘বন্ধু’। এটির পরিবেশনাতেও ছিল স্বতস্ফূর্ততা, আবেগ ও আন্তরিকতার স্পর্শ। কিছু কিছু সংলাপ ফিরিয়ে নিয়ে যায় আমাদের কৈশোরের স্কুলজীবনে।
কবিতার উচ্চারণে বিশেষ করে ছাপ রেখে যান মাণ্ডবী চক্রবর্তী, তিষ্য ভট্টাচার্য, অর্চিষা পরাশর, বর্ণা ভট্টাচার্য, সায়ন সিংহ রায়, শরণ্যা দাস। সবশেষে তসলিমা নাসরিনের লেখনিতে ‘পাখি হয়েও ফিরব একদিন’ পরিবেশনায় স্বকীয়তার ছাপ রেখে যান ‘সহজপাঠ’-এর প্রতিষ্ঠাতা তথা শিল্পী সৌগত চট্টোপাধ্যায়।
সমগ্র অনুষ্ঠানটিতে সম্মিলিতার অনবদ্য স্বতঃস্ফূর্ত সঞ্চালনা ওইদিনের সন্ধেকে করে তুলেছিল আরও মনোমুগ্ধকর। পাশাপাশি প্রণব দত্তের যথাযথ মানানসই আবহ গোটা অনুষ্ঠানটিতে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিল।