২৫ বছর পরেও ইউরোকাপে ইংল্যান্ডের গাঁট হয়েই রইল স্কটল্যান্ড। ১৯৯৬ সালের ফলেরই পুনরাবৃত্তি হল শুক্রবার রাতে। সেই ঘটনা নিয়েই লিখেছেন সাংবাদিক জয় ভট্টাচার্য
চলতি ইউরো কাপের মহারণ শুরু হয়ে গিয়েছে। অনেকেরই মতে 2020-2021 মরশুমের কাপ জয়ের অন্যতম ফেভারিট দল ইংল্যান্ড। দলটির ভারসাম্য এবং খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সই এর প্রধান কারণ। প্রথম ম্যাচে লুকা মদ্রিচদের সহজে হারালেও অপেক্ষাকৃত দুর্বল স্কটিশরা রুখে দিয়েছে হ্যারি কেনদের। ম্যাচের ফল গোলশূন্য।
বাংলায় একটা প্রবাদ আছে, অনেক সময় পচা শামুকেও পা কাটে। শুক্রবার চলতি ইউরো কাপের আসরে যেটা ঘটল সাউথগেটের দলের সঙ্গে। গ্রুপে অন্য দলগুলোর তুলনায় অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল ছিল স্কটল্যান্ড। ম্যাচের আগে প্রতিবেশীদের তাই বেশি গুরুত্ব না দেওয়ার ফল হাতেনাতে টের পেল ফোডেনরা। স্টোনসের বাঁক খাওয়া হেডটি যখন সবাইকে অবাক করে পোস্টে লাগল, তখনই রিজার্ভ বেঞ্চে বসে হাত কামড়াতে লাগলেন সাউথগেট। তাঁর মনের মণিকোঠায় তখন উঁকি মারছে 1996 সালের স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচটির ছবি। কেননা সেই ম্যাচে খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে ছিলেন তিনি। কাকতালীয় হলেও সত্যি, সেই ম্যাচটিও গোলশূন্যভাবেই শেষ হয়েছিল।
এককালে স্কটিশরা ব্রিটিশ উপনিবেশ হিসেবে থাকলেও পরবর্তীতে তাঁরা স্বাধীনতা পায়। এই দুই দলের ফুটবল মাঠে লড়াইয়ের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। 115 বার তাঁরা মুখোমুখি হয়েছে। তবে জয়ের নিরিখে ব্রিটিশরাই এগিয়ে রয়েছে।
স্কটিশরা 1996 সালের পর আবার সুযোগ পেল 2021 সালে। 25 বছর পর। কিন্তু তবুও হোসেন হ্যারিকেনরা ব্যর্থ হল স্কটিশ রক্ষণ ভাঙতে। সুযোগ পেলেও তার কাছে লাগাতে ব্যর্থ হল হ্যারিকেনরা। শুধু হ্যারিকেনই নয়, ভারতের মাটিতে আন্ডার 17 বিশ্বকাপ খেলতে আসা হোসেনও নাম লেখাল হ্যারি কেনের দিকে। অন্যদের থেকে ঠিকমতো সাহায্য না পেয়ে একটা সময়ের পর দাঁড়িয়ে গেলেন স্টোনসও। তাই স্কটিশদের পচা শামুকের পা কেটে এক পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল হ্যারি কেনদের।