এখনও। এখনও ভোরের শিশিরে মতো টাটকা সেই স্মৃতি। গোল অফ দ্য সেঞ্চুরি। প্রসঙ্গটি উঠলেই সবাই নড়েচড়ে বসেন অনেকে৷ ১৯৮৬-এর বিশ্বকাপে দিয়েগো মারাদোনার সেই গোল৷ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাঝমাঠ থেকে একে একে চার জনকে কাটানোর পর গোলরক্ষককেও কাটিয়ে শতাব্দীসেরা সেই গোল৷ এরপরেই সেটি ‘গোল অফ দ্য সেঞ্চুরি’ অ্যাখ্যা পেয়ে যায়। যা সত্যিই সার্থকনামা।
দেখুন ভিডিও:
শতবর্ষের সেই গোলের পর ২৯ বছর কেটে গেছে৷ সদ্য হারিয়েছি তার স্রষ্টাকে। ইন্টারনেটের কল্যাণে এখনও সেই গোল দেখার সুযোগ পেলে, চোখ আটকে যায়। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এমনই অসাধারণ এক গোল করেছিলেন দিয়েগো আরমান্দো মারাদোনা। নিজেদের প্রান্তে বল পেয়ে বিদ্যুৎ গতিতে ছুটতে শুরু করলেন ফুটবলের রাজপুত্র মারাদোনা৷ ফুটবলের সঙ্গে তিনি তো জাদুকর! তিনি শিল্পী। বল পায়ে ছবি আঁকেন মাঠে। সেদিনও ঝড়ের মতো ছুটতে ছুটতেই দেখালেন কিছু ড্রিবলিংয়ের ভেলকি৷ একে একে চার ইংলিশ ফুটবলার কাত হয়ে গেলেন অবিশ্বাস্য ডজে। তারপর…তারপর ডান প্রান্ত থেকে গোলরক্ষককেও ফাঁকি দিয়ে বল পাঠালেন জালে৷
Que notícia triste. Eu perdi um grande amigo e o mundo perdeu uma lenda. Ainda há muito a ser dito, mas por agora, que Deus dê força para os familiares. Um dia, eu espero que possamos jogar bola juntos no céu. pic.twitter.com/6Li76HTikA
— Pelé (@Pele) November 25, 2020
মারাদোনার অবিশ্বাস্য সেই গোলই ছিল ১৯৮৬ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিদায় বাঁশি৷ তবে এই ম্যাচে আরও একটি গোল করেছিলেন মারাদোনা। বিশ্ববাসী আরও স্পষ্ট করে বললে ব্রিটিশদের কাছে যা ‘হ্যান্ড অফ গড’ নামে পরিচিত। অর্থাৎ হাত দিয়ে করা ‘বিতর্কিত’ গোলটির কথাই তারা বেশি মনে রেখেছে। পরবর্তীকালে অবশ্য ফুটবলের রাজপুত্র স্বীকারও করে নিয়েছেন সেটি ‘ঈশ্বরের হাত’ বলে। তবে ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে উজ্জ্বল অধ্যায়ে লেখা হয়ে গেছে মারাদোনার পায়ের গোলটির কথা৷ শতাব্দী সেরা বিশ্বকাপ গোলের মর্যাদা পেয়েছে এটি৷ ইউটিউবে অনেক নামে ছড়িয়ে আছে মারাদোনার সেই জাদুকরী গোলের ভিডিও৷ লক্ষ লক্ষ মানুষ এখনেও দেখছেন প্রায় সমান আগ্রহ নিয়ে৷
One of the most gifted football player is no more. We pay our tribute to football legend Diego Maradona.
Rest in Glory. Ciao Diego pic.twitter.com/OvRkF7dI7q
— Mohun Bagan (@Mohun_Bagan) November 25, 2020
২৫ নভেম্বর কিংবদন্তী ফুটবলারের আকস্মিক মৃত্যু নাড়িয়ে দিয়ে গেছে গোটা বিশ্বকে। অসংযত জীবনযাপন, মাদকসেবন, মদ্যপান সহ বহু বিতর্কিত ঘটনা ঘিরে রয়েছে তাঁর জীবনকে। তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে মারাদোনা মারাদোনাই। আগামী বেশ কয়েকটি শতাব্দিতে আর কোনও মারাদোনা জন্ম নেবে কিনা, তা সময়ই বলবে।