বটগাছ বাঁচাতে এগিয়ে এলেন জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত শিক্ষক। বিশ্ব পরিবেশ দিবসে ‘দাদুর হেঁসেল’ নামে একটি সংস্থাকে বটবৃক্ষের চারা উপহার দিলেন রামপুরহাটের জাতীয় শিক্ষক নিখিল কুমার সিনহা।
৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস। সমাজে শুদ্ধ অক্সিজেন দেওয়ার লক্ষ্যে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আয়োজন করে রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের তুম্বুনি গ্রামের সংস্থা দাদুর হেঁসেল। রামপুরহাট চকমণ্ডলা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের বিডিও দীপান্বিতা বর্মণ, জয়েন্ট BDO শঙ্খলতা চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, পঞ্চায়েত সমিতির সহসভাপতি পান্থ দাস, রামপুরহাট হাইস্কুলের প্রাক্তন জাতীয় শিক্ষক নিখল কুমার সিনহা, তৃণমূলের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেন, বনহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জহিরুল ইসলাম সহ অনেকে।
অনুষ্ঠানে চকমণ্ডলা ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক, নার্স এবং উপস্থিত অতিথিদের সম্বর্ধিত করা হয়। সম্বর্ধনা চলাকালীন নিখিলবাবু অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা পান্থ দাসের হাতে একটি বটবৃক্ষ তুলে দেন। তিনি বলেন, “এই সংস্থা দীর্ঘদিন ধরে মানুষের সেবায় কাজ করে চলেছে। করোনা অতিমারিতে একবছর ধরে এলাকার মানুষকে দুবেলা খাবার পরিবেশন করছে। তাদের এই উদার মনোভাব বটবৃক্ষের মতো বিস্তার লাভ করুক। এই কামনা করেই তাদের হাতে বটগাছ তুলে দিলাম”।
নিখলবাবু আরও বলেন, “একটা সময় ছিল প্রতিটি গ্রামে ছিল বটতলা। এখনও গ্রাম গুলিতে সেই জায়গার নাম বহন করে চললেও নেই বটগাছ। কারন প্রাকৃতিক দুর্যোগে বটগাছ হয় ভেঙে পড়েছে, নয়তো মাফিয়ারা চুরি করে নিয়ে গিয়েছে। ফলে নতুন করে আর গাছ লাগানো হয়নি। কারন জায়গার অভাব। অথচ এই বটগাছের ফল পাখির খাদ্য। পাখিতে ওই ফল খেয়ে পায়খান করলে তবেই বটগাছের চারা হয়। তবে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করতে সমস্ত রকম গাছ লাগানো প্রয়োজন”।
পান্থ দাস বলেন, “বিশ্ব পরিবেশ দিবস বলে নয়, আমরা বৃক্ষরোপণের উপর জোর দিয়েছি। সারা বছর আমরা গাছ লাগিয়ে সেই গাছ বড় না হওয়া পর্যন্ত পরিচর্যা করি। চকমণ্ডলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জায়গায় মেডিক্যাল কলেজ হোস্টেল গড়তে বহু গাছ কেটে ফেলতে হয়েছিল। তাই আমরা এদিন হাসপাতাল চত্বরে বৃক্ষরোপণ করলাম”।
বৃক্ষরোপণের পাশাপাশি এদিন থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। এই মহতী কাজে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল স্বয়ম বলে আরও একটি সংস্থা।