Mamata And Abhishek
Share it

২০২৪-এর লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে এখন থেকেই দল গোছাতে শুরু করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। শনিবার তৃণমূল ভবনে দলের সাংসদ, বিধায়ক, জেলা নেতৃত্ব, পুর প্রশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন প্রশান্ত কিশোরও।


বৈঠকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় স্তরে গুরুত্ব বাড়ানো হল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয় এবার বিধানসভা ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধান সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তৃণমূল যুব সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। তাঁর জায়গায় যুব সভানেত্রী করা হয় সায়নী ঘোষকে।


কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে সর্ব ভারতীয় মহিলা সভানেত্রী হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। বঙ্গ জননী বাহিনীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মালা রায়কে। তৃণমূলের কৃষক সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পূর্ণেন্দু বসুকে। ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি করা হয়েছে। শ্রমিক সংগঠনের সর্বভারতীয় সভানেত্রী হয়েছেন দোলা সেন। দলে গুরুত্ব বাড়ানো হয়েছে কুণাল ঘোষেরও। রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক হলেন কুণাল ঘোষ। তৃণমূলের কালচারাল সেলের প্রধান হয়েছেন রাজ চক্রবর্তী।


বৈঠকে দুর্নীতি রুখতে নেতৃত্বকে কড়া বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ রাখতে হবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে কড়া বার্তা দিয়ে মমতা বলেন, ‘গরু-কয়লা কেলেঙ্কারিতে যেন কেউ না জড়িয়ে পড়েন।’ মন্ত্রীদেরও লালবাতি লাগানো গাড়ি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন তিনি।

তবে এদিনের বৈঠকে দলে ফিরতে চাওয়া নেতাদের নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি বলে দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের। এ বিষয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্তই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেবেন বলে সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন সৌগত রায়। ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য না হলেও মদন মিত্রকে ডাকা হয়েছিল এদিনের বৈঠকে। ফেসবুক লাইভ নিয়ে মদনকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন দলনেত্রী। বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় যখন তখন যা খুশি বলা যাবে না।’

Share it