Jishu Da Special
Share it

নিউজ ওয়েভ ইন্ডিয়া, যীশু চৌধুরী (প্রবীণ সাংবাদিক): ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে উপনির্বাচন (By-Poll) হতে চলেছে। এই উপনির্বাচন রীতিমতো গুরুত্বপূর্ণ, এটা মানতেই হবে। কারণ তৃণমূল (TMC) তো লড়াইতে ভালোভাবে আছেই, সঙ্গে উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে সিপিএম (CPM) সমর্থকদের মধ্যেও। গণতন্ত্রের এই স্বাভাবিক তৎপরতাই আমরা সবসময় দেখতে চাই। আমরা একথা মনে করি, গণতন্ত্র মানে সকলের সমান অধিকার সেখানে ধর্মভেদ, ভাষাভেদ, আচরণগত ভেদ থাকলে চলবে না। গণতন্ত্রকে যদি সত্যিই সফল করতে হয় তাহলে এই বৈষম্যহীন উদ্যোগ দরকার।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই উপনির্বাচনে যে জিতবেন তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তিনি মুখ্যমন্ত্রী হবেন বলেই নয়, একজন যথার্থ রাজনৈতিক নেতা হিসেবেই বিধানসভায় তাঁর থাকাটা খুবই জরুরি। অন্যদিকে CPM একজন তরুণ আইনজীবীকে প্রার্থী করেছে। তাঁদের প্রচারও চলছে জোর কদমে। কিন্তু সেই প্রচারে প্রগতিশীলতা বা অগ্রগমনের কোনও বার্তা নেই। সবটাই নঞর্থক হয়ে দাঁড়াচ্ছে। অথচ বামপন্থীদের কাছ থেকে আমরা সবসময় মতাদর্শগত প্রচারই আশা করি। গত বিধানসভা নির্বাচনেও সেই মতাদর্শের কোনও কথা আমরা শুনতে পাইনি। অ-বামপনন্থী এবং বামপন্থী দলগুলির মধ্যে তফাৎটা সেখানেই হওয়া উচিত। তাহলে এটা কি ধরে নিতে হবে যে CPM আগে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলনের নানা হদিশ দেখানো থেকে আপাতত ছুটি নিয়েছে ?

তবে এটাও ঠিক গত দুবছর ধরে করোনার জন্যে অনেক কিছুই বিপর্যস্ত। তবুও সামান্য ভোট প্রচারের মধ্যেও মতাদর্শগত প্রচার সম্ভব হতে পারত। দু:খের বিষয়, সেটা হয়নি। প্রতিপক্ষ দলের বিরুদ্ধে নিশ্চয়ই বক্তব্য রাখতে হবে ভোট প্রচারে। তবু তা ছাড়াও থাকতে হবে মতাদর্শের কথাও। না হলে সাধারণ মানুষ কীভাবে তাদের দিকে আকৃষ্ট হবে ? যে যুবজনদের কথা তারা বলছে সেই নতুনরাই বা কীসের টানে এই দলের কাছে আসবেন ?

বরং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর দলের অন্যরা নির্দিষ্টভাবে উন্নয়নের কথা বলছেন তাঁদের ভোট প্রচারে। সেখানে সাধারণ ভোটারদের যা কিছু জানার জেনে যাচ্ছেন ওই বক্তৃতা থেকেই। যাঁরা ভোট দেবেন তাঁরা, কী করবেন তা এই দুই নির্দেশনা থেকেই বুঝে নিতে পারবেন।

একথাও বামপন্থীদের মুখে শোনা গেছে, তৃণমূল কংগ্রেস নাকি একটি ‘দুষ্টচক্র’-এর সঙ্গে জড়িত। এত ভোটার যাদের সমর্থন করেছেন ভবানীপুরের ভোট ময়দানে দাঁড়িয়ে সেই ভোটারদের দুষ্টচক্রের সমর্থক বলে দেগে দেওয়া কি ঠিক কাজ ? বিরোধিতা মানে বিরোধিতাই। তবে তার নানারকম ফের আছে। বামপন্থীদের ধরনটা অন্যরকম হলেই ভালো। তবেই তো অন্যদের থেকে তাদের আলাদা করে চেনা যাবে। সেই সুযোগটাই ইদানিং আমরা পাচ্ছি না।

Share it