নিউজ ওয়েভ ইন্ডিয়া: এবার উপাচার্যের বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগের তদন্তের দাবি জানাল বিশ্বভারতী-শান্তিনিকেতন বাঁচাও যৌথ মঞ্চ। রবিবার এই মর্মে শান্তিনিকেতন থানায় একটি লিখিত দাবি পত্র জমা দিয়েছে যৌথ মঞ্চ।
বিশ্বভারতীর উপাচার্যের খামখেয়ালী পনার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে শান্তিনিকেতনে গড়ে উঠেছে বিশ্বভারতী–শান্তিনিকেতন বাঁচাও যৌথ মঞ্চ। যৌথ মঞ্চে ছাত্রছাত্রী ঐক্য, বিশ্বভারতী ফ্যাকাল্টি, বিশ্বভারতীর কর্মীসভা থেকে রয়েছে আশ্রমিক সংঘ, আলাপনি মহিলা সমিতি, প্রাক্তনি এবং অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপকরা। এই যৌথ মঞ্চ বিভিন্ন সময় উপাচার্যের অনৈতিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে শান্তিনিকেতন ও বোলপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এমনকি সাংবাদিকদের ক্যামেরা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগও দায়ের হয়েছে উপাচার্যের বিরুদ্ধে।
কিন্তু ওই দুই থানা এখনও পর্যন্ত উপাচার্যের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া কোন অভিযোগেরই তদন্ত শুরু করেনি। সেই সমস্ত অভিযোগের তদন্তের দাবিতে এদিন শান্তিনিকেতন থানায় দাবি পত্র জমা দেয় যৌথ মঞ্চ। তার আগে শান্তিনিকেতন চত্বরে পথ সভা করে তাঁরা। মঞ্চের সদস্য সুদীপ্ত ভট্টাচার্য, শমিত রায়, কৌশিক ভট্টাচার্যরা বলেন, “এখনও পর্যন্ত উপাচার্য এবং তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে সাংবাদিক থেকে ছাত্র, অধ্যাপক, স্থানীয় মানুষজন ২০ টির বেশি অভিযোগ জমা দিয়েছে বোলপুর ও শান্তিনিকেতন থানায়। এর মধ্যে করোনা বিধি লঙ্ঘন করে জমায়েত, শ্লীলতাহানি, জাতিবিদ্বেষ, লুঠতরাজ, সাংবাদিকের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
কিন্তু পুলিশ কোন অভিযোগের তদন্ত করছে না। পুলিশ নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে আছে। রাজ্যপালের অনুমতি পাওয়া যাচ্ছে না এই অজুহাতে পুলিশ হাত গুটিয়ে বসে আছে। অথচ পুলিশ রাজ্যপালের কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদনই করেনি। আমাদের দাবি অবিলম্বে বিশ্বভারতীর বন্ধ করা জনগনের যাতায়াতের সমস্ত রাস্তা মুক্ত করতে হবে। মেলার মাঠকে যেভাবে জতুগৃহ বানান হয়েছে তা থেকে মুক্ত করতে হবে”। যদিও এনিয়ে পুলিশ প্রশাসন কিংবা বিশ্বভারতীর কোন প্রতিক্রয়া পাওয়া যায়নি।