৪০ দিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়াই শেষ। ইহজগতকে চিরবিদায় জানালেন কিংবদন্তি অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। তবে বাঙালির মনে ‘অপু’ এবং ‘ফেলুদা’ হিসেবে আজীবন থেকে যাবেন তিনি। রবিবার ৮৬ বছর বয়সে জীবনদীপ নির্বাপিত হল তাঁর।
রবিবার বেলা ১২.১৫ মিনিট নাগাদ বেলভিউ হাসপাতালের তরফে সরকারিভাবে তাঁর মৃত্যুর কথা ঘোষণা করা হয়। তার আগে ফোন করে ডেকে পাঠানো হয় সৌমিত্র-কন্যা পৌলমী বসুকে। প্রবাদপ্রতিম অভিনেতার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক খবর পেয়ে হাসপাতালের পথে রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, নগরপাল অনুজ শর্মা ও অন্যান্য উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
৬ অক্টোবর করোনা আক্রান্ত হয়ে বেলভিউ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। ১৪ অক্টোবর তাঁর করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতিও হতে শুরু করেছিল।
Posted by Mamata Banerjee on Saturday, 14 November 2020
কিন্তু, এরপরই হঠাৎ তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। কিডনির কার্যকারিতা কমে আসতে শুরু করে। শুরু হয় ডায়ালিসিস। পাশপাশি চলে ফিজিওথেরাপিও। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হল না। অগনিত ভক্তকে নিরাশ করে চলে গেলেন বাঙালির প্রিয় ‘ফেলুদা’।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা অনুযায়ী, হাসপাতাল থেকে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় টলিপাড়ায়। সেখানে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা। এরপর সেখান দেহ নিয়ে যাওয়া হবে রবীন্দ্র সদনে। সাড়ে ৩টে থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ২ ঘণ্টা দেহ শায়িত থাকবে সেখানে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রবীন্দ্র সদন থেকে পদযাত্রা করে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের দেহ নিয়ে যাওয়া হবে কেওড়াতলা শ্মশান ঘাটে। সেখানে রাজ্য সরকারের তরফে গান স্যালুট দিয়ে সসম্মানে শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে।