দেশজুড়ে ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকা ২৪ ঘণ্টার ধর্মঘটে আংশিক প্রভাব পড়ল বাংলায়। রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় বিচ্ছিন্নভাবে অশান্তির খবরও পাওয়া গেছে। কেন্দ্রের আর্থিক নীতির বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির যৌথ কমিটি এই বনধের ডাক দেয়। তৃণমূল কংগ্রেস এই ধর্মঘটে সামিল না হলেও ইস্যুর প্রতি নৈতিক সমর্থন জানিয়েছে।
Kolkata: Clash broke out between Bharatiya Janata Party (BJP) workers & Police while the workers were staging protest over delay in construction of Majerhat Bridge.
Protestors were also lathi-charged and later detained by Police. #WestBengal pic.twitter.com/13dPOMh5Gi
— ANI (@ANI) November 26, 2020
ভোর হতে না হতেই ধর্মঘটের সমর্থনে দেশজুড়ে পথে নামে বাম ও কংগ্রেস কর্মীরা। কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যেই দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় রেল ও পথ অবরোধকে কেন্দ্র করে। সকাল থেকেই শিয়ালদহের বিভিন্ন শাখায় রেল চলাচল ব্যহত হয় ধর্মঘটীদের অবরোধের জেরে। অবরোধ চলে শ্যামনগরে, চূঁচুড়া স্টেশনে। অবরোধ হয় ডায়মন্ডহারবার-লক্ষ্মীকান্তপুর রেলপথে। মধ্যমগ্রাম স্টেশনে আশান্তি হয় ধর্মঘটী এবং নিত্যযাত্রীদের মধ্যে।
#MazdoorKisanStrike #26NovGeneralStrike #StrikeHardSaveBengal pic.twitter.com/d51omatIAJ
— CPI(M) WEST BENGAL (@CPIM_WESTBENGAL) November 26, 2020
বেলা গড়াতেই সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশনে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেন ধর্মঘটীরা। রাজাবাজারে ধর্মঘটীরা বিক্ষোভ দেখায়। যাদবপুরে সুজন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে এ দিন রেল অবরোধ হয়। খোলা ছিল অধিকাংশ দোকান ও বেসরকারি অফিস। অন্যদিনের তুলনায় রাস্তায় সরকারি বাসের সংখ্যা ছিল বেশি। লেনিন সরণিতে জোর করে দোকান বন্ধের অভিযোগ ওঠে বামেদের বিরুদ্ধে। ধর্মঘটপন্থীরা অশান্তি ছড়ায় বারাসতে। লাঠিচার্জ করে ধর্মঘটীদের সরাতে গেলে ধস্তাধস্তি শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে।
Central rally at Kolkata in support of the #MazdoorKisanStrike . Comrade Biman Basu, @mishra_surjya , @Sujan_Speak were present. #26NovGeneralStrike#StrikeHardSaveBengal pic.twitter.com/WqXbf2iMj5
— CPI(M) WEST BENGAL (@CPIM_WESTBENGAL) November 26, 2020
ধর্মঘটে যাতে পরিস্থিতি সামাল দিতে ৫ হাজার পুলিশকর্মী মোতায়েন করে রাজ্য প্রশাসন। বৃহস্পতিবারের এই ধর্মঘটের আহ্বায়ক CITU, AITUC-এর মতো শ্রমিক সংগঠনগুলি। ধর্মঘটীদের দাবি, দেশের সাধারণ মানুষের মাথাপিছু আয় বাড়াতে হবে। ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃত্বরা বলছেন, করোনায় ধ্বস্ত দেশের অর্থনীতি, জিডিপি তলানিতে চলে গিয়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে কলকারখানা-সহ নানা বেসরকারি সংস্থায় ছাঁটাই। ছোট ব্যবসায়ীরাও তীব্র সঙ্কটে। এই অবস্থায় মানুষের আয় বাড়াতে কর্মসংস্থানের দাবিতে পথে নেমেছেন তাঁরা।