নিউজ ওয়েভ ইন্ডিয়া: কোভিড পরিস্থিতির জেরে বন্ধ থাকার পর রবিবার নতুন করে উদ্বোধন হল ব্যারাকপুরের নোনাচন্দনপুকুর সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। অতিমারির কারণে দীর্ঘ দু’বছর বন্ধ ছিল সুইমিং পুল। তাই বন্ধ ছিল ভর্তিও। রবিবার নোনাচন্দনপুকুর অ্যাথলেটিক ক্লাবের উদ্যোগে ব্যারাকপুর মিউনিসিপ্যালিটির চেয়ারম্যান উত্তম দাসের উপস্থিতিতে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের জন্য খুলে দেওয়া হল সাঁতারের পুল।
রবিবার ক্লাব প্রাঙ্গণে ব্যারাকপুর মিউনিসিপ্যালিটির চেয়ারম্যান উত্তম দাসকে সংবর্ধনা জানানো হয়। সংবর্ধিত করা হয় ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত পুর প্রতিনিধি জয়দীপ দাসকেও। তাঁদের ব্যাজ ও উত্তরীয় প্রদানের পর হাতে পুষ্পস্তবক তুলে দেওয়া হয় ক্লাবের তরফে। উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কমল কুমার মৈত্র সহ অন্যান্যরা। উত্তম দাস বলেন, এই ক্লাব থেকে অতীতে বহু সাঁতারু রাজ্য, জাতীয় এমনকী আন্তর্জাতিক স্তরেও প্রতিনিধিত্ব করেছেন। সুতরাং এই ক্লাবের একটা গরিমা আছে। আর এবার ছোটো ছোটো ছেলেমেয়ে ও তাদের অভিভাবকদের মধ্যে সাঁতারে ভর্তি হওয়ার দারুণ উৎসাহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই সায়ন ভৌমিক নামে ক্লাবের এক কিশোর সাঁতারু ফ্রান্সে ইন্টারন্যাশনাল স্কুল গেমসে সুযোগ পেয়েছে বলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন তিনি।
ব্যারাকপুর মিউনিসিপ্যালিটির নবনির্বাচিত কাউন্সিলর জয়দীপ দাস বলেন, কোভিড পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘ ২ বছর পর ছেলেমেয়েরা নতুন করে সাঁতার কাটার সুযোগ পেয়েছে। তাই এবার ভর্তি হওয়ার জন্য বেশি উৎসাহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কমল কুমার মৈত্র বলেন, এই ক্লাবের পরিকাঠামো আরও উন্নত হবে আগামীদিনে। এবিষয়ে ব্যারাকপুর মিউনিসিপ্যালিটির চেয়ারম্যান উত্তম দাস পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তাঁদের।
ক্লাবের প্রশিক্ষক ও জাতীয় স্তরে প্রতিনিধিত্ব করা সাঁতারু অয়ন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বর্তমানে ক্লাবের পরিকাঠামোর অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। এখন জেলাস্তরে অনেক প্রতিভা এই ক্লাব থেকে উঠে আসায় এখানে ভর্তি হওয়ার জন্য ছেলেমেয়েদের আগ্রহ বেড়েছে।
ছেলেমেয়েদের শারীরিক ও মানসিকভাবে ফিট রাখতেও অনেক অভিভাবক আগ্রহী। তাই সন্তানদের সাঁতারে ভর্তি করতে এখানে নিয়ে আসছেন তাঁরা। গ্রীস্মের মরসুমে জলে দাপাদাপি করার সুযোগ পেয়ে আত্মহারা খুদেরাও।
মার্চের মধ্য লগ্নেই গরমের দাপটে বেকাবু বঙ্গবাসী। তাই করোনার প্রভাব কাটিয়ে সুইমিং পুলের নীল জলে সাঁতার কাটার সুযোগ হাতছাড়া করতে নারাজ ব্যারাকপুরের স্থানীয় বাসিন্দারা।