নিউজ ওয়েভ ইন্ডিয়া: ২০২৩-এর পঞ্চায়েত নির্বাচন তাঁদের কাছে দুঃস্বপ্ন হয়ে থাকবে। আর কোনওদিন ভোটের কাজে যাবেন না তাঁরা। এমনকি চাকরি চলে গেলেও নয়। ভোটগ্রহণের প্রথম অভিজ্ঞতা আতঙ্কের হয়ে থাকল মহিলা পরিচালিত বুথে। ভয়ে কেঁদে ফেললেন প্রিজাইডিং অফিসার অঙ্গনা শেঠ সহ ভোটকর্মীরা। হিংসার ঘটনার পর থেকে তাঁদের চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ।
বীরভূমের ময়ূরেশ্বর ২ নম্বর ব্লকের ময়ূরেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজচন্দ্রপুর গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথ এবার মহিলা পরিচালিত করা হয়েছিল। সেখানে পাঁচজন মহিলা ভোট গ্রহনের জন্য ছিলেন। তাঁদের নিরাপত্তার জন্য ছিল একজন জুনিয়র কনস্টেবল এবং একজন সিভিক ভলান্টিয়ার। মহিলা ভোট কর্মীরা জানান, বেলা ১১ টা পর্যন্ত ভোট শান্তিপূর্ণভাবেই চলছিল। ততক্ষণে প্রায় ২০০ ভোট হয়ে গিয়েছিল। তারপরেই একদল দুষ্কৃতী মুখে কাপড় বেঁধে লাঠি হাতে বুথের ভিতরে ঢুকে পড়ে। অভিযোগ, ব্যালট কেড়ে নিয়ে স্ট্যাম্প মেরে ভোটের বাক্সে ফেলতে শুরু করে। এরকম কিছুক্ষণ চলার পর আরও কিছু দুষ্কৃতী ভিতরে ঢুকে ব্যালট বাক্স কেড়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। বুথের ভিতর তাণ্ডব চালায়।
প্রিসাইডিং অফিসার অঙ্গনা শেঠের অভিযোগ, “আমাদের মহিলা পরিচালিত বুথ হলেও ছিল না পর্যাপ্ত নিরাপত্তা। একপ্রকার আমাদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। দুষ্কৃতীরা আমাদেরও মারতে উদ্যত হয়। জুনিয়র কনস্টেবল এবং সিভিক ভলান্টিয়ার নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে ব্যস্ত ছিল। বাইরে তখন ধুন্দুমার চলছে। দাউ দাউ করে জ্বলছে দুটি মোটর বাইক। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেওয়া হলেও দীর্ঘসময় পরেও পুলিশের দেখা মেলেনি।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, “বহিরাগত দুষ্কৃতীরা এখানে মোটরবাইক নিয়ে ভোট লুঠ করতে এসেছিল। এলাকার শান্তিপ্রিয় মানুষই তাদের মোটরবাইক জ্বালিয়ে দিয়েছে।”