নিউজ ওয়েভ ইন্ডিয়া: “সরকারি প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা পেতে হলে উপযুক্ত প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে। অনেক মহিলাই বয়স বাড়িয়ে সরকারি সুবিধা পেতে আবেদন করেন। এটা ঠিক নয়। বয়সের উপযুক্ত প্রমাণপত্র না থাকলে কোনওভাবেই সরকারি প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া সম্ভব নয়।” মঙ্গলবার বীরভূমের নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের ভদ্রপুর গ্রামে বক্তব্য রাখতে একথা বলেন বীরভূম সাংসদ শতাব্দী রায়।
শতাব্দী বলেন, “অনেকেই ভেবেছিলেন আমি নায়িকা। তাই ভোট নিয়ে চলে যাব। আর কেউ আমার দেখা পাবে না। কিন্তু এটা আমি ভুল প্রমাণ করেছি। আমি ভোট নিয়ে পালিয়ে যাইনি।” তিনি বলেন, “২০০৯ সালে জেতার পর রামপুরহাট এবং সিউড়ি যতবার এসেছি, ততবার শ্বশুর বাড়িও যাইনি, মা-বাবার সঙ্গে দেখা করতে যাইনি। ঘুরে ঘুরে কালো হয়ে গিয়েছি। রাস্তাগুলোও আমার থেকে অনেক পরিস্কার। বহু নতুন নতুন রাস্তা করেছি।
শতাব্দী আরও বলেন, “এখানকার মানুষ মাঝে মাঝে আমাকে ফোন করে সমস্যার কথা বলেন। এমনকি গরু হারালেও আমাকে খুঁজে দেওয়ার কথা বলেন। মনে রাখবেন, গরু হারানোর কথা কিন্তু পঞ্চায়েতকে বলতে হবে। আমার কাজ আমি করে যাব।”
গ্রামের মহিলাদের উদ্দেশ্যে শতাব্দী বলেন, “মেয়েরা সাধারনত বয়স কমায়। মেয়েদের বয়স বাড়ে না বলে আমরা জানতাম। কিন্তু, মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৌলতে মেয়েদের বয়স বাড়ছে। মেয়েদের জন্য দেওয়া সরকারি সুবিধা পেতে মেয়েরা মুখে মুখে বয়স বাড়িয়ে দিচ্ছে। দুয়ারে সরকারে গিয়ে আমার এমনই অভিজ্ঞতা হয়েছে।”
ভদ্রপুরের সভায় ভালো লোক সমাগম হলেও বারা ১ নম্বর পঞ্চায়েতের তৈহারপুর গ্রামে লোকসংখ্যা কম হওয়ায় শতাব্দীকে অনেকক্ষণ গাড়ির মধ্যেই বসে থাকতে হয়। এদিন বীরভূমের সাংসদের সঙ্গে ছিলেন দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব ভট্টাচার্য, জেলা পরিষদের প্রার্থী আবু জাহের রানা ও শুভাশিস ভট্টাচার্য।