Subrata Last rite
Share it

নিউজ ওয়েভ ইন্ডিয়া: কেওড়াতলা মহাশ্মশানে গান স্যালুটে চিরবিদায় জানানো হল রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে। কালীপুজোর রাতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন তিনি। বৃহস্পতিবার রাতেই SSKM থেকে দেহ নিয়ে যাওয়া হয় তপসিয়ার পিস হাভেনে। শুক্রবার সকাল ১০টায় দেহ নিয়ে যাওয়া হয় রবীন্দ্র সদনে। বিকেল ৫.৪০-এ কেওড়াতলা মহাশ্মশানে গান স্যালুটের মাধ্যমে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের অন্তেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

তাঁর শেষযাত্রায় থাকবেন না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার SSKM-এ তিনি বলেন, “সুব্রতদার মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। আমি শেষকৃত্যে থাকব না। ওঁর মরদেহ আমি দেখতে পারব না।” সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মরদেহে মাল্যদানের পর পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

সকালে রবীন্দ্র সদনে শায়িত ছিল বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদের দেহ। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক জগতের সহকর্মীরা। ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, ইন্দ্রনীল সেন, দেবাশিস কুমার, তাপস রায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মালা রায়, শশী পাঁজা, মদন মিত্র। শেষ শ্রদ্ধা জানান মুনমুন সেনও।


দুপুর ২টোর পর সেখান থেকে দেহ নিয়ে যাওয়া হয় বিধানসভায়। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় তাঁর দেহে পুষ্পস্তবক রেখে শ্রদ্ধার্পণ করেন। সেখানে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন বিভিন্ন দলের বিধায়করা। চোখের জলে বিদায় জানান তাঁদের ‘প্রিয় সুব্রতদা’কে। এরপর বিধানসভা থেকে বালিগঞ্জের বাড়ির উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয় মন্ত্রীর দেহ। বাড়ি থেকে বের হয়ে একডালিয়া ক্লাবে রাখা হয় পঞ্চায়েতমন্ত্রীর দেহ। সেখানে মন্ত্রীকে শেষবারের জন্য দেখার জন্য রাস্তায় ভিড় জমান মানুষ। একডালিয়া থেকে কেওড়াতলা মহাশ্মশানের নিয়ে যাওয়া হয় দেহ।

Share it